সিনহা হত্যা মামলার ৪র্থ দফা সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু

|

ছবি: সংগৃহীত।

কক্সবাজার প্রতিনিধি:

সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার ৪র্থ দফা সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর)। সকাল ১০টার দিকে জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাঈলের আদালতে মামলার কার্যক্রম শুরু হয়। এর আগে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থায় বরখাস্ত ওসি প্রদীপসহ মামলার ১৫ আসামিকে আদালতে নিয়ে আসা হয়।

মামলার ৪জন সাক্ষী আদালতে উপস্থিত রয়েছে। এর মধ্যে ১৫নং সাক্ষী গৃহিনী ছেনুয়ারা বেগমের জবানবন্দী প্রদানের মধ্য দিয়ে চতুর্থ দফায় প্রথম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা শুরু হয়। আজ আদালতে হাজির হওয়া অপর সাক্ষীরা হচ্ছেন হামজালাল, মো.সালেহ আহমদ ও আলি আকবর।

এর আগে গত ২৩ থেকে ২৫ আগস্ট পর্যন্ত মামলার প্রথম দফার সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। এতে সাক্ষ্য দেন মামলার বাদী ও সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস এবং ২ নম্বর সাক্ষী ঘটনার সময় সিনহার সাথে একই গাড়িতে থাকা সঙ্গী সাহেদুল সিফাত। পরে দ্বিতীয় দফায় ৪ দিনে চারজন প্রত্যক্ষদর্শীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। তৃতীয় দফায় ৩ দিনে পর্যন্ত ৮ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। মামলায় পঞ্চদশতম সাক্ষীসহ আরো ৬৯ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হবে।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) ফরিদুল বলেন, মামলায় সাক্ষ্যদানের জন্য ৮৩ জন সাক্ষীর মধ্যে এ পর্যন্ত ২৯ জনকে আদালত নোটিশ দিয়েছিলেন। গত ২৩ থেকে ২৫ আগস্ট পর্যন্ত তিনদিনে মামলার বাদী ও ২ নম্বর সাক্ষী জবানবন্দি প্রদান করেন। মামলায় দ্বিতীয় দফায় চারদিনে ৪ জন প্রত্যক্ষদর্শীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। তৃতীয় দফায় তিনদিনে সাক্ষ্য নেয়া হয় আরও সিনহার মৃতদেহের ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসকসহ ৮ জন প্রত্যক্ষদর্শীর।

উল্লেখ্য, গত বছর ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান।

এ ঘটনায় গত বছর ৫ আগস্ট সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদী হয়ে টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও বাহারছড়া তদন্ত সাবেক ইনচার্জ পরিদর্শক লিয়াকত আলীসহ ৯ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলায় প্রধান আসামি করা হয় লিয়াকত আলীকে। আদালত মামলার তদন্ত ভার দেয়া হয় র‍্যাবকে।

ঘটনার ৬ দিন পর ওসি প্রদীপ ও পরিদর্শক লিয়াকতসহ ৭ পুলিশ সদস্য আত্মসমপর্ণ করেন। পরে পুলিশ বাদী হয়ে টেকনাফ থানায় একটি এবং রামু থানায় আরেকটি মামলা দায়ের করেন।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply