শ্রমিক হিসেবে ভাড়ায় মিলছে রোবট

|

দক্ষ কর্মীর সংকট কিংবা খরচ কমাতে রোবটের ওপর নির্ভরতা বাড়ছে দেশে দেশে। কলকারখানাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সরবরাহের জন্য রোবটের কারখানাও গড়ে তোলা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়াতেই রয়েছে এমন তিনটি বাণিজ্যিক রোবট নির্মাণ প্রতিষ্ঠান, যারা মানুষের ঘরের কাজ থেকে শুরু করে বিভিন্ন কাজ করিয়ে নেয়ার জন্য রীতিমত মাসিক চুক্তিতে ভাড়া দিচ্ছেন রোবট।

শুধু ঘরের কাজই নয়, কলকারখানাগুলোতেও দিন দিন বড়ছে রোবটের ব্যবহার। মানসম্মত, নির্ভুল এবং বিরতিহীন সার্ভিস পেতে প্রতিষ্ঠান মালিকরাও ঝুঁকছেন রোবটের দিকেই। মূলত একজন মানুষের চেয়ে দ্রুত কাজ করতে সক্ষম এসব রোবট। নেই ছুটি বা অসুস্থতার ঝামেলা। এমনকি কর্মীর চেয়ে খরচও কম।

যুক্তরাষ্ট্রের এক ব্যবসায়ী এবং রোবট ভাড়া করে ব্যবহারকারী একজন জানালেন, মহামারির কারণে খুবই চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে। এর মধ্যে চলতি বছর অনেক কর্মীর মজুরিও বাড়াতে হয়েছে। কিন্তু রোবট ব্যবহারের কারণে তার এই প্রতিষ্ঠানের জন্য বাড়তি কোনো খরচ হয়নি। এখন রোবটের মাধ্যমে তিন শিফটে দিনে ২৪ ঘণ্টাই কাজ চলে তার প্রতিষ্ঠানে।

যুগের সাথে তাল মিলিয়ে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো রীতিমত রোবট তৈরির কারখানা খুলে বসেছে। এমন অন্তত তিনটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়াতেই। যারা মাসিক চুক্তিতে কারখানা গুলোর কাছে ভাড়াও দিচ্ছেন তাদের রোবট।

এমনই এক প্রতিষ্ঠান র‍্যাপিড রোবটের সহপ্রতিষ্ঠাতা জানালেন, একজন শ্রমিকের জন্য যে অর্থ ব্যয় করবেন সেই অর্থ দিয়েই রোবট পেয়ে যাবেন। মাসিক চুক্তিতেও ভাড়া দিয়ে থাকেন তারা। একটি রোবটের জন্য মাসে ব্যয় হবে ২১০০ ডলার। যা একজন দক্ষ কর্মীর বেতনের চেয়ে অনেক কম বলেও জানালেন তিনি।

সিলিকন ভ্যালি রোবটিকসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অ্যান্দ্রা কেও বললেন একই কথা। জানালেন, ছোট, বড়, মাঝারি, সব ধরনের শিল্প প্রতিষ্ঠানকে এখনই রোবটিক পদ্ধতির দিকে মনোযোগী হওয়া উচিৎ। কারণ এখনই রোবটিক প্রযুক্তিতে প্রবেশের সঠিক সময়। না হলে প্রযুক্তির এই যুগ থেকে অনেক পিছিয়ে পড়তে হবে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, যতোই রোবটের ব্যবহার বাড়বে বিশ্বে ততোই বাড়বে কর্মহীনের সংখ্যা। তবে ঝুঁকিপূর্ণ কাজ গুলোতে মানুষের জায়গায় রোবটের ব্যবহার বৃদ্ধির পরামর্শও দিচ্ছেন অনেকে।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply