আমাজনের বুক চিরে যাবে হাজার মাইলের রেলপথ

|

শিল্প কলকারখানা, যোগাযোগ ব্যবস্থাসহ নানা অজুহাতে ধ্বংস করা হচ্ছে পৃথিবীর ফুসফুস খ্যাত আমাজন। গার্ডিয়ানের ছবি।

উজাড় হচ্ছে আমাজন। বনাঞ্চল কেটে তৈরি হবে হাজার কিলোমিটার দীর্ঘ রেলপথ। সরকারের এ সিদ্ধান্তের সমালোচনায় মুখর পরিবেশবীদরা। তারা বলছেন, শিল্প কলকারখানা, যোগাযোগ ব্যবস্থাসহ নানা অজুহাতে ধ্বংস করা হচ্ছে পৃথিবীর ফুসফুস খ্যাত আমাজন। অতীতের তুলনায় কয়েকগুণ বেড়েছে এই বৃক্ষ নিধন।

প্রতি বছরই দাবনলে পুড়ে ছাই হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় রেইন ফরেস্ট আমাজনের হাজার হাজার একর এলাকা। এর পরও থেমে নেই অবৈধ উপায়ে বৃক্ষ নিধন। এবার এই বনের মধ্য দিয়ে রেলপথ নির্মাণের প্রকল্প হাতে নিয়েছে দেশটির সরকার। বলা হচ্ছে ইতাইতুরা থেকে মাতো গ্রোসো অঞ্চল পর্যন্ত তৈরি করা হবে ১ হাজার কিলোমিটার দীর্ঘ এই যোগাযোগ পথ। পরিবেশবিদরা বলছেন, বন উজারের জন্য বেছে নেয়া হচ্ছে সরকারি নানা প্রকল্পকে।

ব্রাজিলীয় পরিবেশ বিশেষজ্ঞ আনে অ্যালেনকার বলেন, মূলত আমাজন বনকে দুইটি কারণে উজার করে ফেলা হচ্ছে। প্রথমত, এখানকার জায়গার দাম বেশি পাওয়ার জন্য গাছ কেটে জমিতে পরিণত করা হচ্ছে। এছাড়া নতুন সড়ক ব্যবস্থার জন্য কাটা হচ্ছে গাছ। প্রশ্ন তুলে এই পরিবেশবিদ বলেন, বনদস্যুদের জন্য এর চেয়ে ভালো উপায় আর কী হতে পারে?

তবে রেল প্রকল্প প্রতিনিধিরা বলছেন, দেশের উন্নয়নে যোগাযোগ ব্যবস্থা বাড়ানোর বিকল্প নেই। একই সাথে খাদ্য চাহিদা মেটাতে বাড়ানো হয়েছে শিল্প কলকারখানার পরিধিও। দেশটির মাতো গ্রোসো অঞ্চলের গভর্নর মাউরো মেন্ডেস বলেন, আগমী ১০ বছরের মধ্যে বিশ্বে আরও ২০ ভাগ খাবারের চাহিদা বাড়বে। চাইলে খাদ্য উৎপাদনের মাধ্যমে এই চাহিদা পূরণ করতে পারবে শুধু ব্রাজিলই। সেই লক্ষ্য নিয়েই সামনে এগোতে হবে।

তথ্য বলছে, দেশটির প্রেসিডেন্ট জেইর বলসোনারের ক্ষমতা গ্রহণের পর বছরে গড়ে বৃক্ষ নিধন হয়েছে ১০ হাজার বর্গ কিলোমিটার এলাকার। যা ২০০৯ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ছিলো সাড়ে ৬ হাজার বর্গ কিলোমিটার।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply