পানিপড়া দিয়ে করোনার চিকিৎসা করা ওঝার প্রাণ গেলো করোনায়

|

পানিপড়া সারাতে পারে করোনা- এমন দাবি তোলা শ্রীলঙ্কান ওঝা নিজেই হার মেনেছেন করোনার কাছে। বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বোয় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান পানিপড়া দেয়া এলিয়ান্থা হোয়াইট নামের ওই ওঝা। খবর আলজাজিরা’র।

শ্রীলঙ্কান রাজনীতিতে এলিয়ান্থা হোয়াইট প্রাতিষ্ঠানিক কোনো শিক্ষা ছাড়াই দেশের প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক হয়ে যান। শুধু শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রীই নন, দেশটির গুরুত্বপূর্ণ অনেক রাজনীতিবিদই শারীরিক নানা সমস্যা দূর করতে ৪৮ বছর বয়সী এলিয়ান্থার শরণাপন্ন হতেন।

গত নভেম্বরে এলিয়ান্থা ঘোষণা দিয়েছিলেন, পড়া পানির সাহায্যে তিনি শ্রীলঙ্কা থেকে করোনা মহামারি দূর করবেন। তার এই পানিপড়া চিকিৎসায় সায় দিয়েছিলেন শ্রীলঙ্কার স্বাস্থ্যমন্ত্রী পবিত্র ওয়ান্নাইয়ারাচ্চি। কিন্তু অনুমোদন দেয়ার দুই মাসের মধ্যে করোনায় আক্রান্ত হন তিনিও। অবস্থা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছিল যে শেষ পর্যন্ত তাকে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে ভর্তি হতে হয়।

২০১০ সালে ৪৮ বছর বয়সী হোয়াইট প্রথম আলোচনায় আসেন । যখন শচীন টেন্ডুলকার প্রকাশ্যেই তাকে ধন্যবাদ দিয়েছিলেন। টেন্ডুলকার দাবি করেছিলেন, তার হাঁটুর সমস্যা সারাতে ভূমিকা রেখেছেন শ্রীলঙ্কান এই ওঝা। আর সেটাই নাকি ওয়ানডে ইতিহাসের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি পেতে সাহায্য করেছিল তাকে। শুধু টেন্ডুলকার নন, ভারতের গৌতম গম্ভীর ও আশিস নেহরাও নাকি তার কাছে সেবা নিয়েছিলেন।

যদিও দেশটির মূলধারার চিকিৎসকেরা হোয়াইটকে ‘ভণ্ড’ বলতেন। তিন হাজার বছরের পুরোনো আয়ুর্বেদশাস্ত্র ব্যবহার করেই সেবা দিচ্ছেন, এটা বলার পরও আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকেরা তার চিকিৎসার কোনো ভিত্তি নেই বলে জানিয়েছিলেন।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply