গ্রাহকদের টাকা আদৌ কি ফেরত দিবেন রাসেল

|

ই-ভ্যালির সিইও রাসেল। ছবি: সংগৃহীত

গ্রাহকের হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় গ্রেফতার হওয়া ইভ্যালির সিইও মোহাম্মদ রাসেল র‍্যাবকে জানিয়েছেন, তিনি কবে গ্রাহকদের টাকা ফেরত দিবেন সেটি তিনি জানেন না।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে র‍্যাবকে এ কথা জানিয়েছেন বলে শুক্রবার গণমাধ্যমকে জানান বাহিনীর আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

খন্দকার আল মঈন জানান, রাসেল কনফিডেন্ট ছিলেন, তিনি আস্তে আস্তে বিদেশি অনেক প্রতিষ্ঠানকে ইভ্যালিতে সম্পৃক্ত করতে পারবেন, যারা ইভ্যালিতে বিনিয়োগ করবেন। তিনি আশা করেছিলেন, গ্রাহক সংখ্যা বাড়বে। কিন্তু বর্তমান অবস্থায় তিনি কবে গ্রাহকদের টাকা দিতে পারবেন, তাদের পণ্য দিতে পারবেন কি না সে বিষয়ে তিনি নিজেই সন্দিহান বলে আমাদের জানিয়েছেন।

খন্দকার আল মঈন জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রাসেল জানিয়েছেন ইভ্যালির দেনা প্রায় ১ হাজার কোটি টাকা। গ্রাহক সংখ্যা ৪৪ লাখ বলে দাবি তার।

কমান্ডার মঈন বলেন, তার ব্যবসায়িক স্ট্র্যাটেজি ছিল সাত থেকে ৪৫ দিনের ভেতরে তিনি তাদের পণ্য ফেরত দেবেন, যেটা ৬ মাস থেকে এক বছর পর্যন্ত উনি কালক্ষেপণ করতেন। ৬-৭ মাস পর তিনি পুরাতন কাস্টমারদের কাউকে কিছু টাকা বা পণ্য আংশিকভাবে দিতেন। নতুনদের উনি দিতেন না। এভাবে উনি কন্টিনিউ লোকসানের মাধ্যমে দায় বাড়িয়েছেন। উনার প্রতিষ্ঠান লায়াবিটিলিজ মূলধন প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিণত হয়েছে।

র‍্যাব জানায়, ইভ্যালি ছাড়াও রাসেলের আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এর মধ্যে ই-ফুড, ই-খাত ও ই-বাজার অন্যতম।

সব মিলিয়ে কর্মচারীদের প্রাথমিক বেতন ছিল ৫ কোটি টাকার কিছু বেশি, যা বর্তমানে দেড় কোটিতে এসে দাঁড়িয়েছে। গত জুন থেকে এ পর্যন্ত কর্মীদের অনেককেই বেতন দিতে সক্ষম হননি রাসেল।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply