খাদের কিনারে আফগান অর্থনীতি

|

আফগান ব্যাংকগুলোতে নেই রিজার্ভ। ব্যাংকগুলোর সামনে এখন মানুষের দীর্ঘ লাইন।

কাবুল দখলের এক মাস পর অর্জিত সামরিক সাফল্যকে দীর্ঘস্থায়ী করতে গিয়ে এখন হিমশিম
খাচ্ছে তালেবান। বিদ্যমান আর্থ-সামাজিক সঙ্কটে আফগান অর্থনীতি এখন অনেকটাই খাদের কিনারে।

দেশটিতে চার দশকের যুদ্ধ আর অগণিত মানুষের মৃত্যুর পর গত আগস্টে আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নেয় তালেবান। নিয়ন্ত্রণ নেয়ার পর কাবুলের নিরাপত্তা ব্যবস্থার দৃশ্যমান উন্নতি দেখা গেলেও গত ২০ বছরে উন্নয়ন খাতে হাজার হাজার কোটি ডলার ব্যয় করা দেশটির অর্থনীতি এখন খাদের কিনারে দাঁড়িয়েছে বলে মন্তব্য করেছে রয়টার্স।

দেশটির হাজার হাজার মানুষ গ্রাম ছেড়ে শহর কেন্দ্রীক হতে বাধ্য হয়েছে খরা ও দুর্ভিক্ষের কারণে। বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির আশঙ্কা, চলতি সেপ্টেম্বরের শেষ নাগাদ মজুদ খাদ্য ফুরিয়ে যাবে আফগানিস্তানে। এমনটা হলে অন্তত এক কোটি ৪০ লাখ আফগান অনাহারে ভুগবে বলে ধারণা তাদের। তালেবান সরকার নারী অধিকার রক্ষা করছে কিনা বা কোনো জঙ্গিগোষ্ঠীকে আশ্রয় দিচ্ছে কিনা, পশ্চিমা দেশগুলোর মনোযোগ মূলত এদিকে থাকলেও অধিকাংশ আফগান চিন্তিত আসন্ন খাদ্য সঙ্কটের মধ্যে কিভাবে বাঁচবেন তারা। মানুষের অসহায়ত্ব এতটাই সীমা ছাড়িয়েছে যে অর্থের জন্য ঘরের নিত্য ব্যবহার্য জিনিসপত্র বিক্রি করছেন আফগানরা। যদিও বিক্রেতার তুলনায় ক্রেতা কম, কারণ সকলেই ভয়াবহ অর্থনৈতিক সঙ্কটের সম্মুখীন।

আফগান অর্থনীতির এমন অবস্থা অবশ্য অনেকদিন ধরেই বিদ্যমান। শত শত কোটি ডলারের বৈদেশিক সাহায্যের পরও নিয়ন্ত্রণহীন জন্মহারের সাথে প্রবৃদ্ধির তাল মেলানো যাচ্ছিলোনা। এদিকে চাকরি হয়ে পড়েছে দুষ্প্রাপ্য। এমনকি যারা সরকারি চাকরি করেন তাদের অনেকেই বেতন পাননি গত জুলাই মাস থেকে।

বিভিন্ন কারণে অধিকাংশ আফগান নাগরিক কয়েক দশক ধরে চলা যুদ্ধের অবসানকে স্বাগত জানালেও বিদ্যমান অর্থনীতির বেহাল দশায় এখনও চোখেমুখে স্বস্তির ছাপ ফেরেনি অধিকাংশ আফগানেরই। অধিকাংশ আফগানই মনে করেন নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভালো হলেও আয় না থাকায় প্রতিদিন অবস্থা আরও খারাপ হচ্ছে।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply