শুনানি চলাকালে আদালতেই আত্মহত্যার চেষ্টা অভিযুক্তের

|

প্রতিকী ছবি। ছবি: সংগৃহীত

আদালতে একদিকে চলছে শুনানি, অন্যদিকে লকআপের মধ্যে গলায় লুঙ্গি পেঁচিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করছেন বোমা হামলা মামলার আসামি। গত শুক্রবার (১০ সেপ্টেম্বর) এমনই ঘটনা ঘটেছে কলকাতার বারুইপুর আদালতে।

বারুইপুর আদালতের অতিরিক্ত মুখ্য বিচারবিভাগীয় বিচারকের এজলাসে শুক্রবার স্থানীয় সময় দুপুরে চলছিল শুনানি। সেখানেই নরেন্দ্রপুর থানা এলাকার একটি বোমা হামলার মামলায় শাহজাহান মোল্লা নামে এক অভিযুক্তকে পুলিশি হেফাজতে নেয়ার আবেদন করেন তদন্তকারী অফিসার। বিচারক তার বক্তব্য শুনছিলেন, এমন সময়ে দেখা যায়, এজলাসের কোর্ট লকআপের মধ্যেই লোহার গরাদের সঙ্গে গলায় লুঙ্গির ফাঁস দিয়ে ঝুলে পড়ার চেষ্টা করছেন বছর তিরিশের শাহজাহান। এজলাসে কর্তব্যরত পুলিশকর্মীরা ছুটে গিয়ে ওই যুবককে উদ্ধার করে বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যান। তবে গলায় ফাঁস লাগাতে পারলেও শাহজাহানের শ্বাসরোধ হয়নি বলেই জানান চিকিৎসকেরা।

পুলিশ সূত্রের খবর, শাহজাহানের বিরুদ্ধে একাধিক থানা এলাকায় সমাজবিরোধী কার্যকলাপ চালানোর অভিযোগ রয়েছে। তবে এ দিন হাসপাতালে তার অভিযোগ, আমি বিজেপির সংখ্যালঘু সেলের নেতা। সেই কারণে ভোটের ফল বের হওয়ার পরেই আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।

যদিও বারুইপুর পুলিশ জেলার অতিরিক্ত সুপার ইন্দ্রজিৎ বসু বলেন, কোনো মিথ্যে মামলা দায়ের করা হয়নি। আদালতে শাহজাহানের আত্মহত্যার চেষ্টার ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আরও একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

কেনো আদালতে এমন কাণ্ড ঘটাতে যাচ্ছিলেন শাহজাহান? হাসপাতালে তিনি জানান, গত ২ মে তিনি ভাঙড় থানার একটি মামলায় আত্মসমর্পণ করেছিলেন। তারপর থেকে একের পর এক থানায় তার বিরুদ্ধে বোমা হামলার মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে অভিযোগ।

তিনি আরও অভিযোগ করেন, ভোটের পর থেকে পর পর মামলায় প্রথমে পুলিশি হেফাজত, পরে জেল হেফাজত হয়েছে তার। পরে ফের পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হচ্ছে তাকে। এ দিনও বোমা হামলার মামলায় নরেন্দ্রপুর থানা তাকে হেফাজতে নেয়ার আবেদন করে।

শাহজাহান আরও জানাচ্ছেন, ভোটের পর থেকে পরিবারের সঙ্গেও তার যোগাযোগ নেই। তার বাড়ি জেসিবি মেশিন দিয়ে গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ তার। সব মিলিয়ে মানসিক অবসাদ থেকেই আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করেছিলেন তিনি।

সুত্রঃ আনন্দবাজার পত্রিকা


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply