এখনও অজানা বঙ্গবন্ধুর তিন খুনির অবস্থান, ফেরানো যায়নি আরও দু’জনকে

|

বঙ্গবন্ধুর তিন খুনি কোথায় আছে তা এখনও জানা যায়নি।

কূটনৈতিক প্রচেষ্টা কিংবা আইনি তৎপরতা কোনো কিছুই কাজে আসেনি। অনেক চেষ্টার পরও কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রে থাকা বঙ্গবন্ধুর পলাতক দুই খুনিকে ফেরাতে পারেনি বাংলাদেশ। অপর তিন খুনির অবস্থানই জানা সম্ভব হয়নি। নীতিনির্ধারকরা বলছেন, দুইজনকে ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি অপর তিনজনকে চিহ্নিত করার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে সরকার।

তিন যুগ পর ২০১০ সালে, বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে নৃশংস হত্যা মামলার রায় হয়। সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে পাঁচ খুনির ফাঁসি কার্যকর করে বাংলাদেশ। এর এক দশক পর ২০২০ সালের এপ্রিলে ফাঁসি কার্যকর হয় আরেক খুনি আব্দুল মাজেদের।তবে বঙ্গবন্ধু হত্যার দায়ে এখনও দণ্ডপ্রাপ্ত পাঁচ জন পলাতক। এদের মধ্যে রাশেদ চৌধুরী যুক্তরাষ্ট্র আর নূর চৌধুরী কানাডায়। দেশ দুইটির সাথে রাজনৈতিক, কূটনৈতিক ও আইনি যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছে বাংলাদেশ।

এ ব্যাপারে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র দিচ্ছে না তারা বলছে আমরা তদন্ত করছি। সে এখন সেই দেশের নাগরিক হয়ে গেছে, তার ছেলেমেয়েরা সেখানে আছে। আবার কানাডার একটা আইন আছে যে দেশে ফাঁসির আদেশ থাকে তারা সে দেশে পাঠাবে না। কানাডার এই আইন তাদের পার্লামেন্টে পরিবর্তন না হলে আমরা আনতে পারছি না।

অন্যদিকে, অ্যাটর্নি জেনারেল আমিন উদ্দিন বলেন,  এ ব্যাপারে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও আইন মন্ত্রণালয় কাজ করে। ইতিপূর্বে দুইজনকে আনা হয়েছে। হুদাকে আনা হয়েছে, আমেরিকা থেকে মহিউদ্দিনকে আনা হয়েছে। তাদের এনে এখানে দণ্ডাদেশ কার্যকর করা হয়েছে। বাকিদেরও শীঘ্রই ফেরত আনা হবে।

বাকি তিন খুনি আব্দুর রশিদ, শরিফুল হক ডালিম ও মোসলেম উদ্দিন কোথায়, তা এখনও জানা যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে ডালিম স্পেনে , আর মোসলেহ উদ্দিন জার্মানিতে থাকতে পারেন। পরোয়ানা জারি করে এই তিনজনের ব্যাপারে এখনও তথ্য পায়নি ইন্টারপোল।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, এই তিনজন যে লুকিয়ে আছে এদের আত্মীয়স্বজন যে দেশে আছে তারা তো জানে কোথায় আছে। কিন্তু কেউ মুখ খুলে না। খুনিদের ব্যাপারে তথ্য দিলে আমরা তাদের অ্যাওয়ার্ড দিবো।

দ্রুততম সময়ের মধ্যে অন্তত এক খুনিকে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে এখনো আশাবাদী সরকার।

/এস এন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply