দোহায় শান্তি আলোচনা, আফগানিস্তানে ক্ষমতা বণ্টনের প্রস্তাব

|

কাতারের দোহায় শান্তি আলোচনায় বসলো তালেবান ও বিবদমান পক্ষগুলো।

সরকারি বাহিনীর সাথে তালেবানের লড়াইয়ে যখন উত্তাল আফগানিস্তান, তখন কাতারের দোহায় শান্তি আলোচনায় বসলো তালেবান ও বিবদমান পক্ষগুলো। সাথে ছিল সংকট সমাধানে উদ্যোগ নেয়া যুক্তরাষ্ট্র, পাকিস্তানসহ ইউরোপের প্রতিনিধিরাও। দফায় দফায় বৈঠকের পর, তালেবানের কাছ থেকেও আভাস আসে আলোচনার টেবিলে বসতে রাজি তারা। পক্ষগুলোর তরফ থেকে আসে শান্তি প্রতিষ্ঠায় আগ্রহের পাশাপাশি ক্ষমতা বণ্টনের প্রস্তাবও। বিশ্লেষকরা বলছেন, শুধু অস্ত্রের জোরই নয়, কূটনৈতিক প্রচেষ্টাকেও গুরুত্ব দিচ্ছে তালেবান।

এ অবস্থায় প্রশ্ন উঠেছে প্রস্তাবের বাস্তবায়ন এবং শান্তি প্রতিষ্ঠা উদ্যোগের কার্যকারিতা নিয়ে। সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলো বলছে, আলোচনা ছাড়া সংকট সমাধানে আর কোনো পথ খোলা নেই।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নেড প্রাইস বলেন, আফগান সংকট সমাধানে সামরিক হস্তক্ষেপ নয় বরং কূটনৈতিক প্রচেষ্টাতেই সমাধান দেখা হচ্ছে। দোহা আলোচনায় তালেবানকে সেই বার্তাই স্পষ্ট করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র, কাতারসহ সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলো চায়, আলোচনার মাধ্যমে সমঝোতায় আসুক তালেবান। আর তালেবানও বিষয়টি নিয়ে পরিষ্কার যে, আলোচনা ছাড়া তাদের সামনে আর কোনো রাস্তা খোলা নেই ।

বিশ্লেষকরা বলছেন, তালেবানের লক্ষ্য বৈশ্বিক স্বীকৃতি অর্জন। যা শুধুমাত্র অস্ত্রের জোরে ক্ষমতায় আসলে সম্ভব নয়। তাই আলোচনার টেবিলকেই বেছে নিয়েছে তারা।

সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ এর ভাইস প্রেসিডেন্ট সেথ জোনস বলেন, তালেবানের লক্ষ্য কূটনৈতিক ক্ষেত্রে স্বীকৃতি অর্জন। তারা এটাও বুঝেছে যে আলোচনা ছাড়া তাদেরকে স্বীকৃতি দেয়া হবে না। সুতরাং এটা ছাড়া অন্য কোনো পথ খোলা নেই। কারণ এর আগে তারা ক্ষমতায় আসলেও তখন পুরো বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন ছিল। কিন্তু, এবার তারা সেই ভুল করবে না।

এর আগে আফগানিস্তানের স্থানীয় মিলিশিয়াদের নিয়ে জোট গড়তে উদ্যোগ নেন আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি। বিশ্লেষকরা বলছেন, এই উদ্যোগ হিতে বিপরীত হতে পারে। আলোচনার পথ থেকে সরে আসতে পারে তালেবান।

/এস এন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply