দক্ষিণখানে বর্ষা এলেই বাড়ে জলাবদ্ধতা, ভোগান্তিতে বাসিন্দারা

|

কসাইবাড়ি-কাঁচকুড়া সড়কে সামান্য বৃষ্টি হলেই ডুবে থাকে সাড়ে পাঁচ কিলোমিটার রাস্তার প্রায় পুরোটাই।

খানাখন্দে ভরা সড়কে সামান্য বৃষ্টি হলেই জমছে পানি। রিকশা-ভ্যান উল্টে ঘটছে দুর্ঘটনাও। রাজধানীর দক্ষিণখান এলাকায় সবগুলো রাস্তার চিত্রই এমন। স্থানীয়দের অভিযোগ, বছরের পর বছর এই সমস্যা থাকলেও স্থায়ী কোনো সমাধান হয়নি। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি জানান, নিচু এলাকা হওয়ায় প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে এখানে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়।

নতুন করে সিটি করপোরেশনে যুক্ত হলেও দৃশ্যমান কোনো উন্নয়ন দেখেনি এই এলাকার মানুষ। বর্ষায় বছরের পর বছর জলাবদ্ধতায় ভোগান্তি পোহাতে হয় তাদের। এই এলাকার কসাইবাড়ি-কাঁচকুড়া সড়কে সামান্য বৃষ্টি হলেই ডুবে থাকে সাড়ে পাঁচ কিলোমিটার রাস্তার প্রায় পুরোটাই। একই অবস্থা হাজী ক্যাম্প, হলান বাজারসহ দক্ষিণখানের সব সড়কের।

স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, আমি এই এলাকায় ৩০ বছর ধরে আছি। কিন্তু কোনো পরিবর্তন দেখিনি। জনপ্রতিনিধি আসে যায় কিন্তু অবস্থার কোনো উন্নতি হয় না।

আশার কথা শোনাতে পারেননি ওই এলাকার জনপ্রতিনিধিরাও। তারা বলছেন, তুলনামূলক নিচু আর ঘনবসতিপূর্ণ হওয়ায় জলজটের সমস্যা কাটছে না এই এলাকায়।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৪৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আলী আকবর বলেন, এখানে একেবারে পানি নিষ্কাশন হবে না। কারণ, এটা নিচু এলাকা। এজন্য, আমরা সাময়িক যে কিছু ব্যবস্থা আছে সেগুলোর মাধ্যমে জলজট কিছুটা কমাতে পেরেছি, পুরো সমাধান করতে পারিনি।

দক্ষিণখানের সাবেক চেয়ারম্যান এস এম তোফাজ্জেল হোসেন বলেন, পাইপ দিয়ে যদি আমরা এই চারটা রাস্তার পানি তুরাগ ও বালু নদীতে নামাতে পারি তাহলে এই সমস্যা সমাধান করতে পারবো। এর বাইরে কোনো সমাধান নেই।

দক্ষিণখান এলাকা ঘিরে বিভিন্ন মেগাপ্রকল্পের কথা জানিয়েছেন উত্তর সিটির মেয়র। জানান, একনেকে পাস হলেও করোনায় অর্থ ছাড় পেতে অসুবিধা হচ্ছে।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, রাস্তার উন্নয়ন করার জন্য আগে ড্রেন করে পানি নিষ্কাশন করতে হবে। এজন্য আমাদের ৪ হাজার ২৫ কোটি টাকার প্রজেক্টের মধ্যে আছে খাল পুনঃখনন, সাইকেল লেন ও ওয়াকওয়ে নির্মাণ। এই কাজগুলো করতে পারলে অবস্থা বদলে যাবে।

/এস এন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply