দেশে ফিরে কাদের মির্জা বললেন, এত সাহস পায় কোথায়?

|

বসুরহাট পৌর হলে গণসংবর্ধনা সভায় বক্তব্য দেন আব্দুল কাদের মির্জা।

যুক্তরাষ্ট্রে চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরে এসেছেন নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা। তাকে গণসংবর্ধনা দেন নেতাকর্মীরা। সেখানে আলোচিত এই পৌর মেয়র বলেন, অস্ত্র আর অর্থের কাছে রাজনীতি জিম্মি নয়। প্রশাসন অন্ধ থাকার কারণে এখানে শান্তি ফিরে আসছে না।

বুধবার বিকালে বসুরহাট পৌর হলে গণসংবর্ধনা সভায় দেয়া বক্তব্যে কাদের মির্জা আরও বলেন, পুলিশ  প্রহরায় এরা (তার প্রতিপক্ষ) মন্ত্রীর (ওবায়দুল কাদের) বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করলেও প্রশাসন কিছুই করে না। এত সাহস পায় কোথায়?

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের ছোট ভাই কাদের মির্জা হতাশার সুরে বলেন, চিকিৎসা ফলোআপের উদ্দেশ্যে আমেরিকা যাওয়ার পূর্বে দলীয় সব পর্যায়ের নেতাকর্মী, স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনকে অনুরোধ করে বলেছিলাম, এখানে শান্তি প্রতিষ্ঠা করুন। আমার এ কথার পর ভেবেছিলাম কোম্পানীগঞ্জে শান্তির ভিত্তি রচিত হবে। কিন্তু আমি যাওয়ার পরপরই এখানে শান্তি বিঘ্নিত করা করেছে। এভাবে আর কতদিন চলবে। প্রশাসন আমার সঙ্গে অন্যদের তুলনা করে, এটা আমার খুবই কষ্ট লাগে।

কাদের মির্জা বলেন, সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে আমার দলের ছাত্রলীগ যুবলীগের সাইফুল, মেহেদী, সাব্বির, ভুট্টো, শাওনসহ কয়েকজন নেতাকে গুরুতর আহত করা হয়েছে। কেউ কেউ হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছে, অথচ এখানকার প্রশাসন অন্ধ হয়ে রয়েছে। পুলিশ প্রশাসন গ্রেফতার করল আমার দলের নির্দোষ ও নিষ্পাপ নুর হোসেন খানসাবকে। তার বিরুদ্ধে অহেতুক ১১টি মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে। এগুলোরও শেষ আছে, ওপরে আল্লাহ আছেন, তিনি বিচার করবেন। বিচার শুরু হয়ে গেছে, এদের কেউ কেউ করোনায় আক্রান্ত হয়েছে, কেউ স্ট্রোক করছে, এরা রাস্তায় দুর্ঘটনায় মারা যাবে।

তিনি আরও বলেন, পুলিশ  প্রহরায় এরা (তার প্রতিপক্ষ) মন্ত্রীর (ওবায়দুল কাদের) বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করলেও প্রশাসন কিছুই করে না। এত সাহস পায় কোথায়? আমেরিকায় চিকিৎসা করতে গিয়ে এবার পূর্বের চেয়েও কোম্পানীগঞ্জ ছাড়াও সারা দেশের প্রবাসীদের অনেক ভালোবাসা পেয়েছি। প্রবাসীরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে দেশে উন্নয়নের অগ্রযাত্রার ভূয়সী প্রশংসা করেছে। এ এলাকায় গ্যাস দেওয়ার ঘোষণার পর আমাদের নেতা ওবায়দুল কাদেরের পূর্বের চেয়েও অনেক বেশি জনপ্রিয়তা ও গ্রহণযোগ্যতা বেড়েছে।

উল্লেখ্য, গত ২৯ জুলাই ভোর ৪টা ২৫ মিনিটে কাতার এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে ফলোআপ চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্র গিয়েছিলেন কাদের মির্জা। বুধবার সকালে চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরে বিকালে বসুরহাট পৌর হলে সংবর্ধনা সভায় যোগ দেন। ছয় মাস পর ফলোআপের জন্য আবারও যুক্তরাষ্ট্র যাওয়ার কথা রয়েছে তার।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply