ভেতরে অন্ধকার জগতের মাদকসম্রাট ‘দুলাভাই’ বাইরে স্কুলশিক্ষক জয়নাল!

|

সরকারি স্কুলের শিক্ষকতার আড়ালে করে ইয়াবা ব্যবসা। অন্ধকার জগতে তার পরিচিতি দুলাভাই নামে। পুলিশের দাবি, এ অঞ্চলের মাদক সম্রাট সে। অবশেষে চট্টগ্রামে পুলিশের কাছে ধরা পড়েছে দুলাভাই খ্যাত মাদকসম্রাট জয়নুল আবেদীন। জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে শিক্ষকতার আড়ালে ইয়াবা বাণিজ্যের কথা।

জয়নুল আবেদীনের দাবি, ২০০৩ সালে শিক্ষকতা পেশায় যোগ দেয় সে। বর্তমানে কক্সবাজারের খুরুশকুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত, পরিবার নিয়ে থাকে চট্টগ্রামের বায়েজিদ এলাকায়।

গত ৮ আগস্ট ২১,৭০০ পিস ইয়াবাসহ এক গাড়ি চালক ও হেলপারকে গ্রেফতারের পর ‘দুলাভাই’ নামটি প্রথম জানতে পারে ডবলমুড়িং থানা পুলিশ। আসল নাম না জানায় শনাক্ত করা যাচ্ছিল না। অবশেষে তিন দিনের মাথায় ২০ হাজার ইয়াবা এবং নগদ সাড়ে ৮ লাখ টাকাসহ ধরা পড়ে কথিত দুলাভাই।

ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মহসিন জানান, জয়নালের বাসা তল্লাশি করে অন্তত দশটি মামলার কপি পাওয়া গেছে। সবকিছু বিবেচনায় তাকে গডফাদারও বলা যায় বলে মন্তব্য করেন তিনি।

টেকনাফ থেকে ইয়াবা সংগ্রহ করলেও, কৌশল হিসেবে চট্টগ্রামে বিক্রি না করে শুধুমাত্র ঢাকা ও উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন স্থানে পাঠাতো জয়নাল। তার ক্রেতাও নির্দিষ্ট; তাদের কাছে আসল নাম আড়াল করতেই দুলাভাই নাম ধারণ জয়নালের।

ওই পুলিশ কর্মকর্তা জানান, জয়নালের শালা মোবারকও মাদক বাণিজ্যে জড়িত। এ কারণেই মূলত সে দুলাভাই নামে পরিচিতি পায়।

পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে জয়নাল স্বীকার করে, লকডাউনের মধ্যেও অন্তত ১০টি চালান ঢাকা, ঠাকুরগাঁওসহ কয়েকটি অঞ্চলে বিক্রি করেছে সে। অন্যান্য মাদক ব্যবসায়ীদের মালামাল টাকার বিনিময়ে নিজের কাছে জমা রাখার কথাও স্বীকার করে জয়নুল আবেদীন।

জানা যায়, এর আগেও একবার মাদকসহ গ্রেফতার হয়েছিল এই দুলাভাই।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply