হেলেনা-পরীমণিদের মামলার তদন্তভার চেয়ে র‍্যাবের চিঠি

|

ফাইল ছবি।

সাম্প্রতিক অভিযানে গ্রেফতার হেলেনা জাহাঙ্গীর, নায়িকা পরীমণি, প্রযোজক রাজ, মডেল পিয়াসা, মৌ ও তাদের সহযোগীদের বিরুদ্ধে করা ১২টি মামলার তদন্তভার চেয়ে পুলিশ সদর দফতরে চিঠি পাঠিয়েছে র‍্যাব।

পুলিশ সদর দফতরে চিঠি দেয়ার বিষয়টি যমুনা নিউজকে নিশ্চিত করেছেন র‌্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন্স) কর্নেল আবুল কালাম আজাদ।

তিনি বলেন, আমরা সব মামলার তদন্ত করি না। সাধারণত অভিযান চালিয়ে আমরা আসামি গ্রেফতার করে সংশ্লিষ্ট থানায় সোপর্দ করি। পাশাপাশি মামলাও করা হয়। পরে থানা পুলিশ বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অন্য সব ইউনিট এসবের তদন্ত করে। তবে অধিকতর গুরুত্বপূর্ণ অভিযানের ক্ষেত্রে আমরা সংশ্লিষ্ট মামলাগুলোর তদন্তের জন্য পুলিশ সদর দফতরের অনুমতি চাই। অনুমতি পেলে মামলার তদন্ত করি। ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানসহ অতীতে অনেক চাঞ্চল্যকর মামলার তদন্ত আমরা করেছি। সম্প্রতি আলোচিত যেসব অভিযান চালিয়েছি, সেসবের তদন্ত চেয়ে আমরা পুলিশ সদর দফতরে ইতোমধ্যে চিঠি দিয়েছি। অনুমতি পেলে আমরা এসব মামলার তদন্ত করবো।

শুক্রবার (৬ আগস্ট) বিকেলে পুলিশ সদর দফতরের নির্দেশনায় হেলেনা জাহাঙ্গীর, নায়িকা পরীমণি, মডেল পিয়াসা, মৌ ও তাদের সহযোগী মিশু, জিসান, প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজ ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার তদন্তভার সিআইডিতে হস্তান্তর করা হয়।

জানা গেছে, হেলেনা জাহাঙ্গীরকে একমাত্র আসামি করে গুলশান থানায় দুইটি এবং পল্লবী থানায় একটি মামলা হয়েছে। পরীমণি ও দীপুর বিরুদ্ধে বনানী থানায় মাদক আইনে মামলা হয়েছে। রাজ ও সবুজের বিরুদ্ধে বনানী থানায় মাদক ও পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা হয়েছে। জিসানের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে মাদক আইনে খিলক্ষেত থানায় একটি এবং পর্নোগ্রাফি আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে ভাটারা থানায় দুইটি মামলা হয়েছে। এছাড়া মিশুর বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক আইনে দুইটি মামলা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ৩০ জুলাই রাত ৮টার দিকে হেলেনা জাহাঙ্গীরের গুলশানের বাসায় র‍্যাবের অভিযানের পর রাত ১২টার দিকে তাকে আটক করা হয়। নানা নাটকীয়তার মধ্যে গত বুধবার (৪ আগস্ট) সন্ধ্যায় রাজধানীর বনানীতে নিজ বাসা থেকে মাদকসহ গ্রেফতার করা হয় আলোচিত-সমালোচিত চিত্রনায়িকা পরীমণিকে। এর পরপরই বনানীর নিজ কার্যালয় থেকে গ্রেফতার করা হয় প্রযোজক রাজকেও।

ইউএইচ/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply