শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলা: ১০ জঙ্গির মৃত্যুদণ্ড বহাল, কার্যকর করা যাবে ফায়ারিং স্কোয়াডেও

|

২০০০ সালে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলায় ১০ জনকে বিচারিক আদালতের দেয়া মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রেখে পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট। আসামিদের প্রকাশ্যে ফায়ারিং স্কোয়াডের মাধ্যমে গুলি করে বা ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশ কার্যকর করা যেতে পারে বলে নির্দেশনা দিয়েছেন হাইকোর্ট।

চলতি বছরের ১৭ ফেব্রুয়ারি রায় দেন বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. বদরুজ্জামানের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ।

আজ সোমবার (৯ আগস্ট) সকালে সেই রায়ের পূনাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশ করেন হাইকোর্ট বিভাগ। এই মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- ওয়াসিম আক্তার ওরফে তারেক, রাশেদ ড্রাইভার ওরফে আবুল কালাম, ইউসুফ ওরফে মোসাহাব মোড়ল, শেখ ফরিদ ওরফে মাওলানা শওকত ওসমান, মাওলানা আবু বকর, হাফেজ মাওলানা ইয়াহিয়া, মুফতি শফিকুর রহমান, মুফতি আব্দুল হাই ও মাওলানা আব্দুর রউফ।

এছাড়া আসামি মেহেদী হাসানকে বিচারিক আদালতের দেয়া যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ১৪ বছরের কারাদণ্ড প্রাপ্ত আসামি আনিসুল ইসলামের দণ্ড বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। এছাড়া ১৪ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত অপর আসামি সারোয়ার হোসেনকে খালাস দিয়েছেন উচ্চ আদালত।

হাইকোর্টের রায়ে বলা হয়েছে, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের প্রকাশ্যে ফায়ারিং স্কোয়াডের মাধ্যমে গুলি করে বা ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশ কার্যকর করা যেতে পারে।

সিনিয়র আইনজীবী বশিরুল্লাহ জানান, উচ্চ আদালত বলেছেন, ফায়ারিং স্কোয়াডে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা আমাদের দেশে প্রচলিত না। এতে দেশের অসুবিধা বা বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হতে পারে, তাই উচ্চ আদালত ফায়ারিং স্কোয়াডের মাধ্যমে কিংবা ফাঁসির মাধ্যমে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা যেতে পারে বলে অভিমত পোষণ করেছেন।

গত বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর এ আপিল শুনানি শুরু হয়। গত ১ ফেব্রুয়ারি শুনানি শেষে রায়ের জন্য ১৭ ফেব্রুয়ারি বুধবার দিন ধার্য করা হয়েছিল। সে অনুসারে রায় ঘোষণা করা হয়।

এনএনআর/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply