করোনাভাইরাসের উৎপত্তিস্থল নিয়ে রাজনীতি অনাকাঙ্ক্ষিত- অভিযোগ বিশেষজ্ঞদের

|

ম্যারিল্যন্ডে অবস্থিত ফোর্ট ডেট্রিক সামরিক ঘাঁটি।

ম্যারিল্যন্ডে অবস্থিত ফোর্ট ডেট্রিক সামরিক ঘাঁটি। মূলত জৈবঅস্ত্র তৈরির জন্যই একাধিক ল্যাব ও গবেষণাগারের জন্য আলোচিত এই সামরিক ঘাঁটি। করোনা ইস্যুতে আবারও চর্চা, এই সামরিক ঘাঁটি নিয়ে। অনেক গবেষক ও বিশেষজ্ঞ মনে করছেন এই সামরিক ঘাঁটি থেকেও ছড়াতে পারে কোভিড-১৯।

বিভিন্ন দেশের গবেষক ও বিশ্লেষকদের অভিযোগ, ওই সামরিক ঘাঁটির একটি গবেষণাগার থেকেই ছড়িয়েছে করোনাভাইরাস। সেটি আড়াল করতেই বারবার চীনের উহানে তদন্ত করতে চায়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। মহামারি ইস্যুতে সমাধানের পথে না গিয়ে বিষয়টির অতিরিক্ত রাজনীতিকরণ হয়েছে বলেও মত তাদের।

প্রাণঘাতী এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই আলোচনা চলছে এই ভাইরাসের উৎস নিয়ে।
বারবার সামনে আসে চীনের উহানের নাম। এরই মধ্যে শহরটিতে তদন্তও চালিয়েছে ডব্লিউএইচও’র গবেষক দল। তবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের গবেষক ও বিশ্লেষকরা বলছেন, শুধু উহানেই নয়, তদন্ত হওয়া প্রয়োজন মার্কিন ঘাঁটি ফোর্ট ডেট্রিকেও।

ফিলিপাইনের রাজনৈতিক বিশ্লেষক হারম্যান লরেল বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জন্য এটা এখন খুবই জরুরি যে, তারা যেন এই বিষয়ে দ্রুত কোনো সিদ্ধান্ত নেয়। করোনার বিস্তার এবং প্রকোপের জন্য ডাব্লিউএইচও শুধুমাত্র একটি দেশকেই দোষারোপ করছে। একপাক্ষিক অভিযোগ কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।

এরইমধ্যে বিভিন্ন দেশ বিষয়টি নিয়ে সোচ্চার হয়েছে। অন্যান্য উৎস থেকেও ভাইরাসটি ছড়াতে পারে এ বিষয়েও তদন্ত হওয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি।

২০১৯ সালের আগস্টে রহস্যজনক কারণে বন্ধ করে দেয়া হয় ম্যারিল্যান্ডের ঐ জৈব অস্ত্র তৈরির গবেষণাগারটি। ধারণা করা হচ্ছে, সেখান থেকেই ছড়িয়েছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। বিষয়টি আড়াল করতেই বারবার চীনের ওপর দায় চাপিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, এমনটাই অভিযোগ বিশ্লেষকদের।

ফিলিপাইনের সাবেক কূটনীতিক অ্যাডলফ পাগলিনাওয়ান জানান, ভাইরাস নিয়ে বর্ণবাদী আচরণ করা হচ্ছে। এই আচরণের ভয়াবহতা কোভিডের চেয়েও খারাপ। ভাইরাসের উৎস নিয়েও যদি রাজনীতি করা হয়, তো এরচেয়ে দুঃখজনক আর কিছুই হতে পারে না। বিশ্ববাসীর এই বিষয়ে সচেতন হওয়া প্রয়োজন।

যুক্তরাষ্ট্রের ভ্যালিনোভা ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ডেবোরাহ স্যালি বলেন, করোনার উৎস আসলে কোথায় তা নিয়ে বাড়াবাড়ি রকমের রাজনীতি করা হয়েছে। কার দোষের কারণে ভাইরাস ছড়িয়েছে সেটি না খুঁজে, জরুরি ছিলো একত্রে সংকট মোকাবেলা করা। দেশ হিসেবে স্বাস্থ্যখাতে চীনের যথেষ্ট সক্ষমতা রয়েছে। শুরু থেকেই উচিত ছিলো তাদেরকে সাথে নিয়ে কাজ করা।

এর আগে, সম্প্রতি পুনরায় উহানে একটি অনুসন্ধানী বিশেষজ্ঞ দল পাঠানোর সুপারিশ করে
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply