কর্মীরা গ্রামে থাকলে তাদের ‘টেক কেয়ার’ করা যায় না: বিজিএমইএ সভাপতি

|

বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান।

জীবিকা এবং অর্থনীতিকে প্রাধান্য দিতে গিয়ে লকডাউনে কলকারখানা খুলে দেয়া হয়েছে। তবে আরেকটু পরিকল্পিতভাবে এই কাজটি করা গেলে আর কোনো কথা থাকতো না। যমুনা টেলিভিশনের নিয়মিত আয়োজন ‘আমজনতা’র সরাসরি অনুষ্ঠানে অধ্যাপক ডা. আ ফ ম রুহুল হক রোববার (১ আগস্ট) এমন কথা বলেন। তবে বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, সরকার সবকিছু ভেবেচিন্তেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কর্মীরা ঢাকায় বা কারখানার আশেপাশে থাকলে প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের মেডিকেল বা অন্যান্য ব্যাপারে ‘টেক কেয়ার’ করতে পারে। তারা গ্রামে থাকলে ‘টেক কেয়ার’ করা যায় না।

সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী রুহুল হক বলছেন, যারা পরিকল্পনাটি করেছেন, তারা যদি অন্তত একদিন আগে ভাবতেন যে কারখানাগুলো খুলে দেয়া হলে সাথে সাথে মানুষ ঢাকার দিকে ছুটবে, তাদের যাওয়ার জন্য একটা ব্যবস্থা যদি আগেই করতেন, তাহলে এমনটা ঘটতো না। তিনি বলেন, তাড়াহুড়ো করে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত নয়।

একই অনুষ্ঠানে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী লকডাউনে কারখানাকর্মীদের ভোগান্তি সয়ে ঢাকায় ফেরা ও শিল্পকারখানা খোলার সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে বলেন, সরকার ভুল পথে হাঁটছে, এমনকি সরকার তার রাজনৈতিক সহকর্মীদের থেকেও বিচ্ছিন্ন। তা নাহলে সরকার এমন সিদ্ধান্ত নিতো না। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী ব্যক্তিগতভাবে মানুষের ভোগান্তি দেখে হয়তো বিব্রত হচ্ছেন। কিন্তু তিনি আমলাদের দ্বারা প্রভাবিত। আমরা সবাই সরকারের অংশ, আমাদের পরামর্শগুলোও তিনি বিবেচনায় রাখবেন এ প্রত্যাশা করি।

অন্যদিকে, বিজেএমইএ সভাপতি বলেন, কারখানাগুলো ঈদের আগে টিকাদান কার্যক্রম শুরু করেছে। তিনি বলেন, ঢাকায় থাকলে কর্মীদের দ্রুত ভ্যাকসিনের আওতায় আনা সম্ভব হবে, অর্থনৈতিক ও অন্যান্য বিষয়ের সাথে এটিও প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্টদের উদ্দেশ্য ছিল।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মো. সায়েদুর রহমান বলেন, মহামারিকে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে মীমাংসা করতে হবে। তিনি উল্লেখ করেন, গবেষণা করে লকডাউনের বিকল্প বের করা উচিত ছিল। অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে গিয়ে চিকিৎসা সেবাদাতাদের ওপর চাপ সৃষ্টি করার কোনো অর্থ নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি বলেন, সিদ্ধান্ত নিতে হবে বৈজ্ঞানিক ভিত্তিতে এবং এই পদ্ধতিকে বাংলাদেশের সংস্কৃতির সাথে মিলিয়েই বাস্তবায়ন করতে হবে।

‘কম্প্রোমাইজড কঠোরতা’ শিরোনামে সোমবারে ‘আমজনতা’ অনুষ্ঠানে বিজিএমইএ সভাপতি ছাড়া বাকি সকল আলোচকই এভাবে তড়িঘড়ি করে শ্রমিকদের ঝুঁকিতে ফেলে কাজে ফেরানোর সমালোচনা করেন।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply