৬ দিন পেরিয়ে গেলেও উত্তেজনা কমেনি আসাম-মিজোরাম সীমান্তে

|

আসামের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্ব শর্মার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেছে মিজোরাম পুলিশ।

নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে গোলাগুলির ৬ষ্ঠ দিন পার হতে চললেও, উত্তেজনা কমেনি আসাম-মিজোরাম সীমান্ত বিরোধ নিয়ে।

গোলাগুলির ঘটনায় আসামের মুখ্যমন্ত্রী এবং পুলিশের ৬ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেছে মিজোরাম পুলিশ। বিপরীতে আসাম সরকারের অভিযোগ, মিজোরামের আগ্রাসী আচরণের জন্যই সৃষ্টি হয়েছে এই অস্থিতিশীল পরিস্থিতি।

আসাম আর মিজোরাম দুই রাজ্যের নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে এখনও চলছে গুলি বিনিময়। বনাঞ্চলের জমি দখলকে কেন্দ্র করে গত সপ্তাহে দুই পক্ষের গোলাগুলিতে প্রাণ গেছে ৬ অসমিয়া পুলিশ সদস্যের।

এ ঘটনার পর ৬ দিন পার হতে চললেও থমথমে পরিস্থিতি দুই রাজ্যের সীমানায়। নিরাপত্তা বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে দুই দিক থেকেই। বনাঞ্চল দখলের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ আসাম ও মিজোরাম কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে।

আসাম পুলিশের এসপি রামানদিপ কৌর বলেন, ওই এলাকায় অবৈধভাবে দখলদারিত্ব চালানোর চেষ্টা অনেকদিন ধরেই করে আসছিলো মিজোরাম কর্তৃপক্ষ। ঘটনার দিন, সকাল থেকেই ওই এলাকার বনাঞ্চলের জায়গা দখলকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা চলছিলো। পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায় আসাম পুলিশের একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা সেখানে যান। তার সে আলোচনার পর, তিনি ফিরে আসার সাথে সাথে মিজোরাম পুলিশ গুলি করতে শুরু করে।

এই পরিস্থিতিতে আসাম ও মিজোরাম মুখ্যমন্ত্রীর সাথে বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। শান্ত থাকার আহ্বান জানান দু’পক্ষকেই। আলোচনার মাধ্যমে সংকট সমাধানে দুই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী আশ্বাস দিলেও আবারও পরিস্থিতি উত্তপ্ত। এদিকে আসামের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্ব শর্মার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেছে মিজোরাম পুলিশ। সেই এফআইআর এ নাম রয়েছে আরও ৬ পুলিশ কর্মকর্তার।

মিজোরামের বিধানসভা সদস্য কে পাচাঙ্গা জানান, গত ২৬ জুলাই আসাম নিরাপত্তা বাহিনীর শতাধিক সদস্য বাফার জোনের ভেতরে অবস্থান নেন। এরপর তারা মিজোরাম পুলিশ সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি করতে থাকেন। এসময় মিজোরামের একটি চেকপোস্টও দখল করে তারা। এই ঘটনার দায় আসাম মুখ্যমন্ত্রীসহ রাজ্যের পুলিশ কর্মকর্তাদেরকে নিতে হবে।

এদিকে, দুই রাজ্যের সীমান্ত বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আটকা পড়েছে শত শত ট্রাক, বন্ধ রয়েছে পণ্য আনা নেয়া। সীমান্ত বন্ধ থাকলে ট্রাকে থাকা পণ্য ট্রাকেই নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশংকা করছেন ট্রাক চালকরা।

এর আগে সর্বশেষ ১৯৮৫ সালে আসাম ও নাগাল্যান্ডের মধ্যে সীমান্ত বিরোধে গোলাগুলিতে প্রাণ হারিয়েছিলেন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের। উল্লেখ্য, আসামের সাথে নাগাল্যান্ড মিজোরাম ছাড়াও মনিপুর এবং অরুনাচল প্রদেশের সাথে সীমানা নিয়ে বিরোধ রয়েছে।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply