বাচ্চাদের কাছে জেলে যাওয়ার কথা যেভাবে লুকিয়েছিলেন সঞ্জয়

|

১৯৯৩ সালে সন্ত্রাসী ও বিচ্ছিন্নতাবাদী কর্মকাণ্ড আইনের অধীনে গ্রেফতার হয়ে জেলে গিয়েছিলেন সঞ্জয় দত্ত।

মুন্না ভাই ওরফে সঞ্জু বাবা, জীবনে ভালো-মন্দ অভিজ্ঞতা কম হয়নি বলিউড এই তারকার। ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে বরাবরই ছিলেন সমালোচিত। ১৯৯৩ সালে সন্ত্রাসী ও বিচ্ছিন্নতাবাদী কর্মকাণ্ড আইনের অধীনে গ্রেফতার হওয়া সত্ত্বেও, সঞ্জয়ের জনসাধারণের কাছে ইমেজ সামান্য নষ্ট হয়নি। ২০১৬ এর ২৫ শে ফেব্রুয়ারী জেল থেকে ছাড়া পান তিনি। জেলে যাওয়ার কথা জানাতে পারেননি সন্তানদের। এই অভিনেতা তাদের বলেছিলেন, লম্বা সময়ের জন্য পাহাড়ে শুটিং করতে যাচ্ছেন তিনি।

নিজের ৬২ তম জন্মদিনে ইন্সটাগ্রাম অ্যাকাউন্টে দেয়া এক পোস্টে সঞ্জয় দত্ত লিখেছেন, আমার ভাগ্য ভাল ছিল যে আমি যখন জেলে
ছিলাম, তখন আমার ছেলে এবং মেয়ের বয়স মাত্র ২ বছর ছিল। তাই ওদের সেই সময়টা ভাল করে মনে নেই। আমি আমার স্ত্রীকে বলেছিলাম ওদের জেলে না আনতে। আমি চাইনি ওরা আমাকে কয়েদির পোশাকে দেখুক। বড় হওয়ার পর সন্তানদের প্রশ্নের মুখোমুখি হয়ে আমি ওদের বলেছিলাম আমি পাহাড়ে শুটিং করছিলাম। সেখানে নেটওয়ার্ক পাওয়া যায় না।

ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে বরাবরই সমালোচিত ছিলেন সঞ্জয় দত্ত। বর্তমানে জেল থেকে বেরিয়ে শুরু করেছেন নতুন জীবন। এসব সমালোচনা ছাপিয়ে ভক্তদের কাছে অভিনয় দিয়েই তুমুল জনপ্রিয় তিনি।

১৯৫৯ সালের ২৯ জুলাই ভারতের মুম্বাইয়ে জন্মগ্রহণ করেন সঞ্জয় দত্ত। তাঁর বাবা বিখ্যাত অভিনেতা সুনীল দত্ত ও মা বিখ্যাত অভিনেত্রী নার্গিস দত্ত। বলিউডে শুরুটা শিশু শিল্পী হিসেবে হলেও, ১৯৮১ সালে ‘রকি’ সিনেমায় অভিনয়ের মাধ্যমে বলিউডে পা রাখেন সঞ্জয়।

অ্যাকশন হিরো হিসেবে তুমুল জনপ্রিয় হন সঞ্জয়। তবে রোমান্টিক কিংবা কমেডি সিনেমাতেও অভিনয় করেও অর্জন করেছেন ভক্তদের ভালবাসা। তার সিনেমার গান কিংবা ডায়ালগ সবকিছুই যেন ভক্তদের কাছে ছিলো নতুন কিছু পাওয়া।

সঞ্জয় দত্ত অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে, সাজান, খলনায়ক, ভাস্তাব, মুন্নাভাই এমবিবিএস, লাগে রাহো মুন্নাভাই, দাস, মুসাফির অগ্নিপথে মত ব্যাবসাসফল সব সিনেমা। একশরও বেশি সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি। বর্তমানে তার জীবনী নিয়ে সিনেমা হচ্ছে যেখানে তার চরিত্রে অভিনয় করছেন রণবীর কাপুর।

/এস এন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply