সিরিয়ার ঘৌতায় অস্ত্রবিরতির সময় বাড়ানোর আহ্বান

|

হাতে মাত্র ৫ ঘণ্টা সময়। এরমধ্যেই মৃত্যুপুরী ঘৌতা থেকে পাড়ি দিতে হবে নিরাপদ অঞ্চল। তাই শহরের বাসিন্দাদের পাশাপাশি উদ্ধারকারীদের মধ্যেও থাকে তাড়া। অবশ্য এর মাঝেই চলছে রুশ বিমানের নজরদারি আর আসাদ স্থল বাহিনীর অভিযান।

স্থানীয় এক বাসিন্দা অভিযোগ করে বলেন, এটা কোন ধরনের অস্ত্রবিরতি? মানবাধিকার কর্মীরা যখন উদ্ধার কাজ চালাচ্ছে; সেসময়ও মাথার ওপর চক্কর দিচ্ছে রুশ বিমান।

জাতিসংঘ বলছে, রাশিয়ার ৫ ঘণ্টার বিমান হামলা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত মানবিক সহায়তার জন্য যথেষ্ট নয়।

জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল মার্ক লোকক বলেন, “সকাল ৯টা থেকে ২টার মধ্যে কি ঘৌতায় সহায়তা পৌঁছানো সম্ভব? রেডক্রসের মতো সংগঠনকে যদি চেকপয়েন্টে অপেক্ষায় থাকতে হয়; তাহলে কয়টি পরিবারে তারা ত্রাণ পৌঁছাবে; কয়জনকে উদ্ধার করবে? সময় বৃদ্ধির ব্যাপারে তাই সবপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।”

যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ- প্রস্তাব পাস করেও সেটি মানছে না রুশ-সিরিয়া জোট। জাতিসংঘে মার্কিন উপ প্রতিনিধি কেলি কুরি বলেন, অস্ত্রবিরতি প্রস্তাব পাসের পর, রাশিয়া জানিয়েছিলো তারা ৫ ঘণ্টা ঘৌতায় বিমান হামলা বন্ধ রাখবে। কিন্তু, সেটা নির্মম, বিদ্রুপাত্মক সিদ্ধান্ত ছাড়া আর কিছুই না। কারণ, তাদের বিমান হামলা চলছেই। সিরিয়া বা ইরানের জন্য প্রতিজ্ঞা ভঙ্গ নিয়মিত ব্যাপার, কিন্তু- ঘোষণা দিয়ে মস্কোর এই আচরণ মেনে নেয়া যাচ্ছে না।

যদিও, বিমান হামলা বা বেসামরিক নাগরিকদের ওপর ক্লোরিন গ্যাস ব্যবহারের অভিযোগ অস্বীকার করেছে, আসাদ জোট। জাতিসংঘে সিরিয়ার প্রতিনিধি হাশেম-ই-দীন আলা দাবি করেন, প্রশাসনের কাছে ক্লোরিন-সারিন গ্যাসের মজুদ নেই। আল-নুসরা ফ্রন্ট ও আইএস’র মতো জঙ্গি সংগঠনগুলোই বেসামরিকদের ওপর এসব প্রয়োগ করে। আর, কয়েকটি দেশ রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের এসব খবরে রং চড়ায়।

একই রকম দাবি মস্কোর তরফ থেকেও। রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ জানিয়েছেন, অস্ত্রবিরতি পাস করা হয়েছে ঠিকই, কিন্তু তা একতরফাভাবে মানছে রাশিয়া। জঙ্গি সংগঠনগুলোর তৎপরতা নেই। তাদের কারণেই, বারবার আন্তর্জাতিক মহলে উঠছে মস্কোর নাম। তাই বলবো, জঙ্গিদের সাথে যদি শান্তি আলোচনার কোন সম্ভাবনা থাকে, সেই বৈঠকে রাজি পুতিন প্রশাসন।

শনিবার, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে সিরিয়ায় ৩০ দিনের অস্ত্রবিরতির প্রস্তাব পাস হয়। কিন্তু তা কার্যকর হয়নি এখনো।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply