বেনাপোল বন্দরে বিশাল অংকের রাজস্ব ফাঁকি

|

ছবি: সংগৃহীত

বেনাপোল প্রতিনিধি:

মিথ্যা ঘোষণায় রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে ৩৯ ট্রাক আঙুর, টমেটো ও আনারের চালান পাচার করে হয়েছে বেনাপোল বন্দর থেকে। ৩৯ টি ট্রাকে চালান করা এসব পণ্য নিতে ফাঁকি দেয়া হয়েছে মোট ১ কোটি ৩ লাখ টাকার রাজস্ব।

আজ মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) সকালে জালিয়াতির মাধ্যমে রাজস্ব ফাঁকির অভিযোগে রয়েল এন্টারপ্রাইজ নামে এক সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের লাইসেন্স বাতিল করেছেন কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। বাতিলকৃত লাইসেন্সটি রয়েল এন্টাপ্রাইজের মালিক রফিকুল ইসলাম রয়েলের। যার এআইএন নম্বর-৬০১০৫০০১৩।

কাস্টমস সূত্র জানায়, গতকাল শনিবার (২৬ জুলাই) বন্ধের দিন ভারত থেকে ৩৯ ট্রাক আঙুর, টমেটো ও আনার আমদানি করা হয় বেনাপোল বন্দর দিয়ে। এই চালানগুলো খালাশের দায়িত্বে ছিল সিএন্ডএফ এজেন্ট রয়েল এন্টারপ্রাইজ।

রয়েল এন্টারপ্রাইজ কাস্টমস কর্মকর্তাদের চোখ ফাঁকি দিয়ে বন্দরের ট্রান্সশিপমেন্ট ইয়ার্ড থেকে ৩৯ ট্রাক আঙুর, টমেটো ও আনারের ২টি চালান (কাস্টমস নম্বর- বি/ই সি-৪৮৬৮৩ ও সি-৪৮৬৭০ সহ ৮টি বি/ই) বিপরীতে কোন দলিল না দেখিয়েই বন্দর থেকে বের করে নিয়ে যায়।

বিষয়টি জানাজানি হলে বেনাপোল কাস্টমস হাউসের কমিশনার আজিজুর রহমান ও অতিরিক্ত কমিশনার ড. নেয়ামুল ইসলামের যৌথ প্রচেষ্টায় ফাঁকি দেয়া রাজস্ব আজ সোমবার সরকারী কোষাগারে জমা দিতে বাধ্য করা হয় ঐ সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টকে।

রয়েল এন্টারপ্রাইজের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে যে, প্রতি শনিবার বন্ধের দিন কাস্টমস কর্মকর্তাদের চোখ ফাঁকি দিয়ে পণ্য পাচার করে থাকে তারা। রয়েল এন্টারপ্রাইজের বিরুদ্ধে একাধিক রাজস্ব ফাঁকির অভিযোগ রয়েছে কাস্টমস হাউসে।

রয়েল এন্টাপ্রাইজের মালিক রফিকুল ইসলাম রয়েল বলেন, আমার সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট লাইসেন্স বাতিল করেছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। তবে সে ৩৯ ট্রাক পণ্য চালানের পরের দিন পরিশোধ করা হয়েছে। এগুলো পচনশীল পণ্য বিধায় ঐদিন রাজস্ব পরিশোধ করা হয়নি।

বেনাপোল কাস্টমস হাউসের অতিরিক্ত কমিশনার ড. নেয়ামুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, জালিয়াতি করে বন্দর থেকে ৩৯ ট্রাক পণ্য বের করে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগে রয়েল এন্টাপ্রাইজের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে তদন্ত করা হচ্ছে। রাজস্ব ফাঁকির বিষয়ে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করা হয়েছে।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply