বিনামূল্যে ২৫০ পোর্টেবল ভেন্টিলেটর পাওয়ার নেপথ্যে যারা

|

বাম দিক থেকে - কার্ডিওলজিস্ট প্রফেসর ডা. চৌধুরী হাফিজ আহসান, কার্ডিওলজিস্ট প্রফেসর ডা. মাসুদুল হাসান, প্রফেসর ডা. জিয়াউদ্দিন আহমেদ সাদেক, সাবেক সিনিয়র ইউএন অফিসিয়াল মাহমুদ উস শামস চৌধুরী ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ও ইউজিসি অধ্যাপক ডা. এবিএম আবদুল্লাহ।

ঢাকায় এসে পৌঁছেছে বিনামূল্যে পাওয়া ২৫০টি পোর্টেবল ভেন্টিলেটর মেশিন। শনিবার (২৪ জুলাই) রাত ৮টায় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ভেন্টিলেটরগুলো এসে পৌঁছে।

যেসব রোগীর সংক্রমণ খুবই মারাত্মক তাদের জীবনরক্ষায় পোর্টেবল ভেন্টিলেটর খুবই কার্যকর এক যন্ত্র। রোগীর ফুসফুস যদি কাজ না করে তাহলে রোগীর নিঃশ্বাস-প্রশ্বাসের কাজে সহায়তা করবে এসব ভেন্টিলেটর। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসব ভেন্টিলেটর গ্রহণ করেন মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ও ইউজিসি অধ্যাপক অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ।

যমুনা নিউজকে তিনি জানান, এসব ভেন্টিলেটরের প্রতিটির মূল্য প্রায় ১৫-১৬ হাজার আমেরিকান ডলার। বিনামূল্যে এই প্রয়োজনীয় মেডিকেল সরঞ্জামাদি পাওয়ার নেপথ্যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন চার জন বাংলাদেশি-আমেরিকান। তারা হলেন, কার্ডিওলজিস্ট অধ্যাপক ডা. চৌধুরী হাফিজ আহসান, কার্ডিওলজিস্ট অধ্যাপক ডা. মাসুদুল হাসান, নেফ্রলজিস্ট অধ্যাপক ডা. জিয়াউদ্দিন আহমেদ সাদেক ও সাবেক সিনিয়র ইউএন অফিসিয়াল মাহমুদ উস শামস চৌধুরী। এছাড়াও এই চার বাংলাদেশি-আমেরিকানকে নানাভাবে সহায়তা করেছেন কানাডা প্রবাসী ডা. আরিফুর রহমান।

বাংলাদেশ থেকে তাদেরকে সহায়তা প্রদান ও গোটা কার্যক্রম সমন্বয় করেছেন অধ্যাপক ডা. এবিএম আবদুল্লাহ।

অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ জানান, মিটিং করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে ভেন্টিলেটরগুলো কোথায় পাঠানো হবে। তবে জেলা, উপজেলা, এবং প্রান্তিক অঞ্চলের মানুষরা যেন এইসব ভেন্টিলেটরের সুবিধা পেতে পারে আমরা সেই ব্যবস্থাই করবো।

ভেন্টিলেটরগুলো পরিচালনায় কোনো সমস্যায় পড়তে হবে না বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। জানান, আমরা ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের চিকিৎসকদের সাথে যোগাযোগ করেছি। তারা এগুলো ব্যবহারযোগ্য করার জন্য সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবে।

সার্বক্ষণিক এই বিষয়ে খোঁজখবর রাখার জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। পাশাপাশি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও দেশের অন্যান্য চিকিৎসকদের প্রতি যারা এই উদ্যোগ সফল করার পেছনে অবদান রেখেছেন।

এর আগে একই ব্যক্তিবর্গের সহযোগিতায় কোভ্যাক্সের আওতায় মডার্নার ২৫ লাখ ভ্যাকসিন দ্রুততম সময়ে বিনামূল্যে পেয়েছে বাংলাদেশ।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply