বাংলাদেশ ইসরায়েলের আড়িপাতার সফটওয়্যার ‘পেগাসাস’ কিনেছে কিনা জানেন না পররাষ্ট্রমন্ত্রী

|

ইসরায়েলের সফটওয়্যার পেগাসাস এখন আড়িপাতার সবচেয়ে শক্তিশালী হাতিয়ার।

ইসরায়েলের তৈরি আড়িপাতার সফটওয়্যার ‘পেগাসাস’ বাংলাদেশ কিনেছে বা ব্যবহার করছে কিনা তা জানেন না পররাষ্ট্রমন্ত্রী। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের দাবি, ইসরায়েলের সাথে সম্পর্ক না থাকায় সেখান থেকে কোনোকিছু কেনে না সরকার। আর নেতিবাচক কিছু হলেই তাতে বাংলাদেশের নাম জড়ানো হয় বলেও অভিযোগ তার।

ইসরায়েলের সফটওয়্যার পেগাসাস এখন আড়িপাতার সবচেয়ে শক্তিশালী হাতিয়ার। এই সফটওয়্যারের মাধ্যমে যে কারো ফোনের কথপোকথন ছাড়াও পকেটে বা টেবিলে মোবাইল থাকলে মুখোমুখি আলাপ এমনকি চলাচলের ভিডিও রেকর্ড করা সম্ভব।

বিশ্বের ৪৫ দেশের ৫০ হাজার ফোনে ব্যবহৃত হচ্ছে ইসরায়েলি এই সফটওয়্যার। খবর বেরিয়েছে, গঙ্গা নামক এক অপারেটর ২০১৭ সালের শুরু থেকে বাংলাদেশ, ব্রাজিল, হংকং, ভারত ও পাকিস্তানে নজরদারি করছে এটি দিয়ে।

সম্প্রতি আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে হাঙ্গেরির একটি কোম্পানির মাধ্যমে ইসরায়েল থেকে স্পাইওয়্যার কেনার অভিযোগ করা হয়েছিলো। এরপর পেপাসাস ব্যবহারকারী দেশের তালিকায় বাংলাদেশের নাম আসায় দুইয়ে দুইয়ে চার মেলাচ্ছেন অনেকে।

তবে বাংলাদেশ সরকার ইসরায়েল থেকে এটি কিনেছে কিনা তা জানেন না বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেন, আমাদের সরকার এটি কিনেছে কিনা তা আমি জানি না। তবে আমাদের এটি কেনার কথা না। কারণ, ইসরায়েলের সাথে সম্পর্ক না থাকায় আমরা তাদের কাছ থেকে কিছু কিনি না। আর সরকার বিদেশ থেকে কিছু কিনলে তা আমরা জানি। এটা কেনা হয়েছে এমন কোনো তথ্য আমাদের কাছে নেই।

নেতিবাচক কিছু হলেই তাতে বাংলাদেশের নাম জড়ানো হয় বলে অভিযোগ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কিছু দুষ্টু লোক আছে যারা এসব বলে। লাগামহীনভাবে এগুলো বলা হয়। যেগুলোর কোনো তথ্য প্রমাণ নেই।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হোয়াটসঅ্যাপ, ভাইবার, ম্যাসেঞ্জার কিংবা সিগনালের মতো অ্যাপের কথপোকথন ও ম্যাসেজও রেকর্ড হচ্ছে এটি দিয়ে। এমনকি মোবাইল বন্ধ থাকলেও সে সময়ের আলাপচারিতা চলে যেতে পারে পেগাসাস নিয়ন্ত্রণকারী ব্যক্তি বা সংস্থার কাছে।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply