রায়েরবাজার কবরস্থানে লাশের মিছিল; কবর খুঁড়তে ব্যবহার করতে হচ্ছে যন্ত্র

|

রায়েরবাজার কবরস্থানে কবর খোড়ার জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে যন্ত্র। অল্প সময়ে অনেক কবর খোড়ার জন্যই নেয়া হয়েছে এই ব্যবস্থা।

করোনায় মারা যাওয়া নগরবাসীর শেষ ঠিকানা হবে রায়েরবাজারের কবরস্থানে। প্রতিনিয়ত মৃতের সংখ্যা বাড়ায় হাতে কবর খুঁড়তে হিমশিম খেতে হচ্ছে রায়েরবাজার কবরস্থান কর্তৃপক্ষকে। তাই একসাথে অনেক কবর খুঁড়তে ব্যবহার হচ্ছে সিটি কর্পোরেশনের উচ্ছেদ যন্ত্র এস্কেভেটর। এই যন্ত্র দিয়েই অগ্রিম খুঁড়ে রাখা হচ্ছে সারি সারি কবর।

মেশিন দিয়ে দৈনিক ৩০-৪০টি কবর খুঁড়ে রাখা হয়। গর্ত করে রাখার পর কোনো মরদেহ আসার খবর পেলে কবরগুলো পরিপাটি করা হয় দাফনের জন্য।

রায়েরবাজার কবরস্থানে দেখা যায়, একের পর এক আসছে লাশের গাড়ি। একজনের দাফন শেষ করতে না করতে হাজির হয় আরেকটি মরদেহ। স্বজনদের কান্নায় ভারি হচ্ছে কবরস্থান এলাকা।

২ বছর ধরে এখানে কাজ করা আব্দুল হালিম করোনায় মৃতদের লাশ দাফন করছেন। জানালেন প্রথম প্রথম আবেগাপ্লুত হয়ে পড়লেও এখন প্রতিনিয়ত মানুষের মৃত্যু দেখতে দেখতে সহজ হয়ে গেছে।

রাজধানীর শেষপ্রান্তে রায়েরবাজার কবরস্থানের ৮নং ব্লকে করোনায় মৃতদের দাফন করা শুরু হয় গতবছর মে থেকে। একবছরেই ভরে গেছে পুরো ব্লক। শুক্রবার পর্যন্ত এখানে মরদেহ সমাহিত হয়েছে প্রায় ১২শ।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply