ইতালির দৃঢ়তা বনাম ইংল্যান্ডের স্বপ্ন পূরণের ফাইনাল

|

মেজর কোনো টুর্নামেন্টে ৫৫ বছর পর শিরোপা জয়ের লক্ষ্যে ওয়েম্বলিতে ইতালির বিপক্ষে মাঠে নামবে ইংল্যান্ড। ১৯৬৬ সালে পশ্চিম জার্মানির বিরুদ্ধে অতিরিক্ত সময়ে পাওয়া বিখ্যাত জয়ের পর প্রথমবারের মতো শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচ পর্যন্ত পৌঁছেছে গ্যারেথ সাউথগেটের ইংল্যান্ড। এই লম্বা সময়ে ইংলিশদের রয়েছে ১৯৯০ ও ২০১৮ সালের বিশ্বকাপ ও ১৯৯৬ সালের ইউরো থেকে বিদায়ের কষ্টদায়ক অভিজ্ঞতা।

অন্যদিকে রবার্তো মানচিনির ইতালি সেমিফাইনালেই তাদের নার্ভের পরিচয় দিয়ে স্পেনের বিরুদ্ধে টাইব্রেকারে পেয়েছে জয়। ফর্মে থাকা লেফট ব্যাক লিওনার্দো স্পিনাজ্জোলার ইনজুরির ধাক্কাকে সামাল দিতে পেরেছে কিয়েল্লিনি, বোনুচিদের ইতালি। গ্রুপ পর্বে তুরস্ক, সুইজারল্যান্ড ও ওয়েলসকে উড়িয়ে দেয়া দলটি প্রবল বাধার মুখে পড়েছিল স্পেন ও রাউন্ড অব সিক্সটিনে অস্ট্রিয়ার সাথে ম্যাচে। ইংল্যান্ডের দুশ্চিন্তার কারণ হতে পারে ইতালির অপরাজেয় চেহারা। ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরের পর থেকে টানা ৩৩ ম্যাচে অপরাজিত রবার্তো মানচিনির দল। রাশিয়া বিশ্বকাপে কোয়ালিফাই করতে ব্যর্থ হবার পর নিজেদের একাগ্রতা ও পরিবর্তিত খেলার ধরনে ইতালি এই ইউরোকেই হঠাৎ বেছে নিয়েছে পূর্বেকার বৈশ্বিক টুর্নামেন্টগুলোর ক্ষতিপূরণের মঞ্চ হিসেবে।

ফাইনালে অনিশ্চিত ইংলিশ স্ট্রাইকার ফিল ফোডেন। শনিবার (১০ জুলাই) ইংলিশদের শেষ অনুশীলনে ছিলেন না পল গ্যাসকোয়েনের আদলে চুলের স্টাইল করে ইউরোতে আসা ম্যান সিটির এই দ্রুতগতির খেলোয়াড়। রাইট উইং এর জায়গাটির জন্য লড়বে বুকায়ো সাকা ও জ্যাডন স্যাঞ্চো। আজ চার ডিফেন্ডার নিয়ে স্কোয়াড সাজানোর জোর সম্ভাবনা সাউথগেটের। এর সাথে জ্যাক গ্রিয়ালিশকে বদলি হিসেবে নামিয়ে আবার বেঞ্চে ডেকে নিয়ে বিতর্কের জন্ম দেয়া সাউথগেট হয়তো অ্যাস্টন ভিলার এই তালিসম্যানকে সুপার সাব হিসেবে পরেই নামাবেন।

অন্যদিকে রোমার ফুলব্যাক স্পিনাজ্জোলা তার অ্যাকিলিস টেন্ডনের সার্জারি করবেন দ্রুতই। তবে বেশ কয়েক মাসের জন্যই মাঠের বাইরে চলে গেছেন তিনি। আজ্জুরিদের আক্রমণভাগে আগের ম্যাচগুলোর মতোই থাকবেন ইনিসিনিয়া, ইম্মোবিলে ও কিয়েজা। মাঝমাঠে থাকবেন ভেরাত্তি, বারেল্লা ও জর্জিনিও। ডিফেন্সে ডি লরেঞ্জো ও এমারসনের সাথে থাকবেন ইতালির কিংবদন্তিতুল্য রক্ষণ জুটি কিয়েল্লিনি ও বোনুচ্চি। গোলবার আগলে রাখবেন অনেকের মতেই এ আসরের অন্যতম সেরা গোলরক্ষক জিয়ানলুইজি ডোনারুমা।

পুরো টুর্নামেন্টে কেবল ৩টি গোল হজম করা ইতালির রক্ষণকে সেরা বললে অবিচার করা হবে হ্যারি ম্যাগুয়ার, জন স্টোনস, কাইল ওয়াকার, লুক শ’দের নিয়ে গড়া ইংলিশ দুর্গকে। তাদের জালে বল গিয়েছে মাত্র ১ বার! তাই দুর্দান্ত একটি ফাইনালের আশায় থাকছে ফুটবলপ্রেমীরা। এখনি বলা যাচ্ছে না, ইংলিশদের গণদাবির মুখে ফুটবল ঘরে ফিরবে নাকি রোমে যাবে ইতালির দৃঢ়তায়।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply