লকডাউনে শ্রমিক পরিবহন নিয়ে বিজিএমইএ সহ-সভাপতিকে যা বললেন পুলিশ কর্মকর্তা

|

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (বন্দর জোন) এস এম মেহেদী হাসান লকডাউনে শ্রমিক পরিবহনের ক্ষেত্রে পুলিশকে সহায়তা করার জন্য বিজিএমইএ নেতাদের অনুরোধ জানান।

গতকাল ২৮ জুন (রোববার) যমুনা টেলিভিশনের টকশো ‘আমজনতা’য় যুক্ত হয়ে তিনি এই অনুরোধ জানান।

তিনি আরও বলেন, গার্মেন্টসের ভাড়া করা বাসগুলো শ্রমিক পরিবহনের নামে স্টিকার লাগিয়ে ফাঁকা সময়ে যাত্রী পরিবহন করে। বেশ কয়েকটি বাসের বিরুদ্ধে আমরা মামলা করেছি কিন্তু এটি যথেষ্ট নয়। শ্রমিকদের পৌঁছে দিয়ে বাসগুলো যেন গার্মেন্টসের ভেতরেই অবস্থান করে সেটি বিজিএমইকে নিশ্চিত করতে হবে।

এর জবাবে বিজিএমইএ’র প্রথম সহ-সভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম বলেন, আমরা চেষ্টা করি প্রশাসনকে সহায়তা করার জন্য। এত বড় শ্রমিক জনগোষ্ঠীকে প্রশাসনের সাহায্য ছাড়া নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব না। ভাড়া করা গাড়িগুলো রাখার মতো জায়গা সব গার্মেন্টসের নেই।

এর আগে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. আনোয়ারুল ইকবাল বলেন, লকডাউনে পরিবহন কর্মীদের পরিবহন ব্যবস্থা করে দেয়ার কথা বলেন মালিকরা কিন্তু গার্মেন্টস কর্মীরা পায়ে হেটে, ভ্যানে- রিকশায় চড়ে কর্মস্থলে যায়। লকডাউন একটি ‘টেম্পোরারি টুল’। ভারত এত বড় দেশ হয়েও করোনা ব্যবস্থাপনায় হিমশিম খেয়েছে। আমাদের ডাক্তার- রোগীর অনুপাত এত অপ্রতুল যে করোনা সংক্রমণ যদি ভয়াবহ আকার ধারণ করে তবে আমরা এটিকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবো না। বিজ্ঞান চলে ফ্যাক্টের ওপর; আবেগের স্থান এখানে নেই।

বিজিএমইএ’র প্রথম সহ-সভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রি খোলা থাকার যুক্তি দেখিয়ে বলেন, বিজ্ঞান বিজ্ঞানের মত চলছে এটা সত্য। কিন্তু আমরা কারখানা চালু রাখার অনুরোধ করেছি কারণ আমাদের অর্ডারগুলো সঠিক সময়ে শিপমেন্ট করতে হবে। নতুবা কোটি কোটি টাকার ক্ষতি হয়ে যাবে। অর্থনীতির স্বার্থেই আমাদের কারখানা খোলার ঝুঁকি নিতে হচ্ছে। ৪০ লক্ষ শ্রমজীবীর কর্মজীবন এখানে জড়িত। আমাদের বেশিরভাগ কর্মীই পায়ে হাটা দূরত্বে অবস্থান করে।

উল্লেখ্য, টক শো ‘আমজনতা’ উপস্থাপনা করেন যমুনা টেলিভিশনের অ্যাসাইনমেন্ট এডিটর রোকসানা আনজুমান নিকোল। অনুষ্ঠানটি প্রতি রবি থেকে বৃহস্পতিবার রাত নয়টায় সরাসরি সম্প্রচারিত হয়।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply