চেকদের তীরে থেমে গেল কমলা ঢেউ

|

নক আউটের তৃতীয় ম্যাচেই প্রথম আপসেটের দেখা পেল ইউরো। গ্রুপ পর্বে শতভাগ জয়ের রেকর্ড নিয়ে নকআউটের প্রথম ম্যাচেই টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় হওয়া প্রথম দল হলো নেদারল্যান্ডস। আর ২০০৪ সালের ইউরোতে নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে ৩-২ গোলের জয়ে যে প্রত্যাবর্তনের দুর্দান্ত গল্প রচনা করেছিল চেক রিপাবলিক, দু’দলের সাম্প্রতিক ফর্মের বিচারে চেকদের কাছে এই ম্যাচও তেমনি স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

যোগ্য দল হিসেবেই শেষ আটে চলে গেল চেকরা। ডাচদের চেয়ে বেশি সংঘবদ্ধ, বেশি সতর্ক এবং গোলের সামনে বেশি ক্ষুধার্ত ছিল চেকরা। আর সেট পিস আটকানোয় পুরো ম্যাচেই নেদারল্যান্ডস ডিফেন্স ছিল নড়বড়ে। গোলরক্ষক স্টেকেলেনবার্গ একাধিকবার ফিস্ট করার জন্য এগিয়েও পরক্ষণেই দোটানায় ভুগে পেছনে চলে গিয়েছেন। এমন এক মুহূর্তেই ১০ জনে পরিণত হওয়া ডাচদের বিরুদ্ধে ম্যাচে এগিয়ে যায় চেক রিপাবলিক। ৬৮ মিনিটে টমাস কেলাসের হেডার অরক্ষিত অবস্থায় নিজ আয়ত্তে নিয়ে ডান পায়ের শটে চেকদের লিড এনে দেন টমাস হোলেস।

আর ৮০ মিনিটে নেদারল্যান্ডসের কাছে ম্যাচ জয়কে পর্বত অতিক্রমের সমান করে ফেলেন দুর্দান্ত ফর্মে থাকা চেক ফরোয়ার্ড প্যাট্রিক শিক। চলতি টুর্নামেন্টে চতুর্থ গোলটি করার মাধ্যমে চেকদের শেষ আটে উঠা নিশ্চিত করেন বেয়ার লেভারকুসেনের এই ফরোয়ার্ড।

পুরো টুর্নামেন্টেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলেছে ডাচরা। বুদাপেস্টের এ ম্যাচেও উইং ব্যাক ডেনজেল ডামফ্রাইস ও প্যাট্রিক ভ্যান আনহল্ট ম্যাচের প্রথমার্ধে সৃষ্টি করেছেন ত্রাস। মেমফিস ডিপাই ও ডনিয়েল ম্যানেলও আক্রমণে ভূমিকা রেখে যাচ্ছিলেন। ডিফেন্সে দু’দলকেই কিছুটা ভঙ্গুর মনে হচ্ছিল এক পর্যায়ে। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে ডি বক্সের সামান্য বাইরে বলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মরিয়া হয়ে হাত দিয়ে বল স্পর্শ করেন ম্যাথিয়াস ডি লিট। ভিডিও এ্যাসিস্টেন্ট রেফারির সাহায্য নিয়ে হলুদ কার্ড বদলে লাল কার্ড দেখানো ছাড়া অন্য উপায় ছিল না রেফারি সের্গেই কারাসেভের। খেলার ভারসাম্যও এই ঘটনায় ঝুঁকে যায় চেকদের দিকে। আর পুরো ম্যাচে গোলে কোনো শট নিতে না পারার খেসারত দিয়ে দ্বিতীয় রাউন্ড থেকেই বাড়ির পথ ধরলো গ্রুপ পর্বে ৩ ম্যাচে ৮ গোল করা ক্রুইফ, বাস্তেনদের শিষ্যরা।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply