ঝিনাইদহে বাগানেই নষ্ট হচ্ছে আম, দিশেহারা চাষিরা

|

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি:

করোনার কারণে ঝিনাইদহে আমের বাজারে ধ্বস নেমেছে। ক্রেতা না পাওয়ার কারণে আম নিয়ে বিপাকে পড়েছে জেলার চাষিরা। এদিকে ব্যাংক ও বিভিন্ন এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে আম চাষ করায় চাষিদের মাথায় হাত পড়েছে। বর্তমান আমের যে বাজার তাতে উৎপাদন খরচ উঠছে না বলে দাবি চাষিদের।

ঝিনাইদহ সদর উপজেলার গান্না ইউনিয়নের কাশিমনগর গ্রামের সাজেজার রহমানের বেশ অনেকগুলো আমের বাগানের মালিক। তিনি জানান, কিছু আম বিক্রি করতে পারলেও এখন আর ব্যাপারীরা আম কিনতে আসছে না।

আম চাষি বুলবুল আহম্মেদ বাপ্পি জানান, এখন আমের ভরা মৌসুম চলছে। অথচ বাগানে কোনো ব্যাপারী আসছে না। কিছু ব্যাপারী বাগান কিনে বায়না করে গেলেও তাদের অপেক্ষায় আম গাছেই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

সন্টু জোয়ারদার জানান, ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, খুলনা, ফরিদপুর ও পিরোজপুর জেলার ব্যাপারীদের আগমনে এ সময় আম বাগান মুখরিত থাকতো। এখন আর কেউ আম কিনতে আসছে না। তিনি জানান, কিছু ব্যাপারী আসলেও তারা ৬৮০ টাকা মণ আম কিনতে চাচ্ছে। এই দামে আম বিক্রি করলে লোকসান হবে বলেও জানান ওই চাষি।

জানা যায়, দক্ষিণাঞ্চলের সবচেয়ে বড় আমের মোকাম জেলার কোটচাঁদপুরে। সেখান থেকে ১০ দিন আগেও দেড়শ থেকে দুইশ ট্রাক আম দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি হতো। এখন ৫০ ট্রাক আমও বিক্রি হচ্ছে না।

কোটচাঁদপুরের আড়তদার মোমিনুর রহমান জানান, বর্তমান আমের বাজার খুবই ডাউন। করোনার কারণে আম বাজারজাত ও পরিবহন করা যাচ্ছে না। শনিবার পর্যন্ত আম বিক্রি হয়েছে ১২০০ টাকা মণ। আর এখন বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৭০০ টাকা মণে।

ঝিনাইদহ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. আজগর আলী জানান, চাষিদের আম পরিবহন সহজতর করার জন্য জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে অবহিত করা হয়েছে। কিন্তু করোনার ভয়াল বিস্তার ও নানা বিধিনিষেধের কারণে চাষিরা আম বিক্রি করতে পারছে না।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply