করোনায় বিপর্যস্ত ফ্রান্সের সংখ্যালঘু মুসলিমরা

|

করোনাভাইরাসে বিপর্যস্ত ফ্রান্সের সংখ্যালঘু মুসলিমরা। দেশটির বিভিন্ন ধর্মীয় ও জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে মুসলিমদের মৃত্যুহার-ই সবচেয়ে বেশি। এদের মধ্যে ফ্রান্সে জন্ম গ্রহণকারীদের তুলনায় অভিবাসীরা দ্বিগুণ।

গবেষক এবং কমিউনিটি নেতারা বলছেন, অনুন্নত জীবন যাপন এবং দুর্বল আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থার কারণেই এই দুরবস্থা।

তাহারা চ্যারিটির প্রেসিডেন্ট সামাদ আখরাক জানান, মরদেহের জানাজায় আত্মীয়-স্বজন ও পরিচিতজনরা উপস্থিত থাকেন। কিন্তু এখন এই পরিস্থিতিতে কেউই নেই। শুধু আমরা যারা সমাহিত করার প্রক্রিয়ার সাথে জড়িত তারাই আছি। গেলো মাসে আমাদের সংস্থার উদ্যোগে ২শ’র বেশি মরদেহ দাফন করা হয়েছে। এত লাশ আগে আমরা পাইনি।

মামাদু দিয়াগোর্গা বলেন, সারির শুরুতেই আমার বাবার কবর। গেলো বছর উনি যখন মারা যান তখন ওই সারিতে শুধু ওনার কবরই ছিলো। অথচ এখন পুরো গোরস্থান ভরে গেছে। এত মানুষের মৃত্যু আগে দেখিনি।

ফ্রান্সে করোনায় প্রাণহানি ১ লাখ ছাড়িয়েছে বেশ আগেই। দেশটির পুরো জনগোষ্ঠীর মধ্যে মুসলিমদের মাঝে মৃত্যুহার সবচেয়ে বেশি। গবেষকরা বলছেন, ফ্রান্সে জন্মগ্রহণকারী মুসলিমদের মৃত্যুহার যেখানে ৮ শতাংশ, সেখানে অভিবাসী মুসলিমদের মাঝে এ হার দ্বিগুণ।

গবেষক মিশেল গ্যালোট বলেন, ধর্মের ভিত্তিতে মৃতের কোনো তালিকা নেই ফ্রান্সে। তবে আমাদের জরিপ বলছে, শ্রেণিবিভাগ করলে তাতে দেখা যায় করোনায় মৃতদের মধ্যে মুসলিমদের সংখ্যাই বেশি। বিশেষ করে উত্তর আফ্রিকা এবং সাব-সাহারান অঞ্চল থেকে আসা মুসলিমরা।

ফ্রান্সের মুসলিম জনগোষ্ঠীর ২০ শতাংশই বাস করে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায়। সাধারণত স্বল্প আয়ের চাকরি, অনুন্নত জীবনযাপন তাদের। একইসাথে অনেক মানুষের বসবাসের কারণে করোনা আক্রান্তের ঝুঁকিও তাদের মাঝে বেশি। ফ্রান্সের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৯ শতাংশ মুসলিম।

ইউএইচ/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply