কোভিডের টিকার দুই ডোজের মধ্যকার ব্যবধানে ঝুঁকি বেশি: ফাউচি

|

করোনা প্রতিরোধে এখন সার্বজনীন টিকা কার্যক্রমের দিকে তাকিয়ে আছে গোটা বিশ্ব। তবে টিকার প্রয়োগের ক্ষেত্রেও প্রয়োজন বাড়তি সতর্কতা। বিশেষ করে দুই ডোজের মধ্যকার ব্যবধানে বেশি হয়ে পড়লে ঝুঁকি আরও বেড়ে যায়। এমনটাই জানিয়েছেন বিখ্যাত সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ ড. অ্যান্থনি ফাউচি।

শুক্রবার (১১ জুন) এনডিটিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ ড. অ্যান্থনি ফাউচি জানিয়েছেন, দুই ডোজের মধ্যে সময়ের ব্যবধান বেশি হলে টিকা গ্রহীতা করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ঝুঁকির মুখে পড়তে পারেন।

করোনা টিকার সংকট দেখা দেয়ার পর টিকাদানের গাইডলাইনে কিছু পরিবর্তন এনেছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। এ নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল ড. ফাউচিকে। প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ফাইজার ও মডার্নার মতো এমআরএনএ টিকার দুই ডোজের মধ্যে সময়ের আদর্শ ব্যবধান হলো যথাক্রমে তিন ও চার সপ্তাহ। সমস্যা হলো, এই দুই ডোজের মধ্যে সময়ের ব্যবধান যদি আপনি বাড়িয়ে দেন, তবে করোনার বিভিন্ন ধরন টিকাগ্রহীতার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে।

ড. ফাউচি আরো বলেন, আমরা যুক্তরাজ্যের ক্ষেত্রে দেখেছি যে তারা দুই ডোজের মধ্যে সময়ের ব্যবধান বাড়িয়েছিল। এই সময়ের মধ্যে করোনার বিভিন্ন ধরণের যেকোনোটিতেই সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা খুবই বেশি। তাই আমরা নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই টিকার দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণের পরামর্শ দিচ্ছি।

ভারতের করোনাভাইরাসের টিকার সংকট দেখা দেওয়ার পর অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার দুই ডোজের মধ্যে সময়ের ব্যবধান বাড়িয়ে ১২ থেকে ১৬ সপ্তাহ করা হয়। যদিও পূর্বে দুই ডোজের মধ্যে সময়ের ব্যবধান ছিল ৬ থেকে ৮ সপ্তাহ।

এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো দুই ডোজের মধ্যে সময়ের ব্যবধান বাড়ানো হলো। এর আগে গত মার্চে টিকার দুই ডোজের মধ্যে সময়ের ব্যবধান ২৮ দিন থেকে বাড়িয়ে ৬ থেকে ৮ সপ্তাহ করা হয়। তখন বলা হয়েছিল, ‘ভালো ফলের আশায়’ এই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

এদিকে ভারতে শনাক্ত ডেলটা ধরন থেকে সাধারণ মানুষের সুরক্ষার জন্য টিকা দেওয়ার ওপর জোর দিয়েছেন ড. ফাউচি। কারণ এ ধরণ অন্যগুলোর তুলনায় অনেক বেশি সংক্রামক।

এই ডেলটা ধরন নিয়েও কথা বলেছেন ড. ফাউচি। তিনি বলেন, ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে এ ধরনটিই সবচেয়ে বেশি ছড়াচ্ছে। এ কারণে যেসব দেশে এ ধরন ছড়িয়েছে, তাদের এ নিয়ে সচেতন হওয়া উচিত।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply