নিখিলের সঙ্গে বিয়েই হয়নি, বিচ্ছেদের প্রশ্ন ওঠে না: নুসরাত

|

নিখিলের সঙ্গে বিয়েই হয়নি, বিচ্ছেদের প্রশ্ন ওঠে না: নুসরাত

তুরস্কের পর্যটন কেন্দ্রে ২০১৯ সালের ১৯ জুন নিখিল জৈনের সঙ্গে বিয়ে করেন নুসরাত জাহান। এর দুই বছর পূর্ণ হওয়ার কয়েক দিন আগে কলকাতার এ নায়িকা বলছেন, ওটা নাকি বিয়ে নয়! তাই বিচ্ছেদের প্রশ্নই আসে না। আজ বুধবার নিখিলের সঙ্গে বিচ্ছেদের চর্চা নিয়ে নীরবতা ভাঙলেন পশ্চিমবঙ্গের এ তারকা সাংসদ।

নুসরাত বলেন, তুরস্কের আইন অনুসারে ওই বিয়েটা অবৈধ। তার ওপর এটা যেহেতু হিন্দু-মুসলিম বিয়ে সে ক্ষেত্রে বিশেষ বিবাহ আইন অনুসারে এই বিয়েতে স্বীকৃতি দরকার। সেটা হয়নি। ফলে এটা বিয়েই নয়।

কলকাতার এ নায়িকা আরও বলেন, আইনের চোখে এটাই বিয়েই নয়, বরং একটা রিলেশনশিপ বা বলা যায় লিভ ইন রিলেশনশিপ। তাই ডিভোর্সের প্রশ্নটাই ওঠে না। আমরা অনেক দিন আগেই আলাদা হয়ে গেছি। তবে আমি এই নিয়ে কিছু বলতে চাইনি। কারণ আমার ব্যক্তিগত জীবনটা আমি ব্যক্তিগতই রাখতে চেয়েছিলাম। তাই আমি কী করছি, সেটা ওই বিচ্ছেদের ওপর ভিত্তি করে নির্ভরশীল নয়। আমাকে নিয়ে সংবাদমাধ্যমের বা অন্য যে কারোর প্রশ্ন তোলাটা সাজে না। এই বিয়েটা আইন সম্মত নয়, বৈধ এবং কার্যকর নয়।

২০১৯ সালের ১৯ জুন ও ২০ জুন তুরস্কের বোদরুমে দুটি রীতি মেনে বিয়ের পর্ব সেরেছিলেন নুসরাত-নিখিল। কলকাতায় ফিরে ২ জুলাই এক সাত তারকা হোটেলে বসেছিল এই জুটির গ্র্যান্ড রিসেপশন, যেখানে হাজির ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর সরকারি অনুষ্ঠান থেকে প্রাইভেট পার্টি একসঙ্গে দেখা মিলেছে এই জুটির। দুর্গাপূজার অষ্টমীর অঞ্জলি, দশমীর সিঁদুর খেলা থেকে ইসকনের রথের অনুষ্ঠান, নুসরাতের পাশে থেকেছেন তার ‘স্বামী’ নিখিল জৈন।

গত বছর অক্টোবরে দুর্গাপূজার অষ্টমীর অঞ্জলি দিতে শেষবার একসঙ্গে পৌঁছেছিলেন নুসরাত-নিখিল। এরপর আর জনসমক্ষে একত্রে দেখা যায়নি তাদের। চলতি বছর জানুয়ারির শুরুতেই প্রকাশ্যে আসে তাদের বিচ্ছেদের কাহিনি। সেই সময় অভিনেতা যশ দাশগুপ্তের সঙ্গে রাজস্থানে ভ্রমণ করছিলেন নুসরাত, এমন খবর দেয় সংবাদমাধ্যমগুলো।

এদিকে নিখিল জানান, ছয় মাস ধরে তারা আলাদা থাকছেন। অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই দেওয়ানি মামলা দায়ের করেছেন তিনি। মার্চে দাখিল করা সেই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ২০ জুলাই। নুসরাত-নিখিলের ম্যারেজ রেজিস্ট্রেশন হয়নি। সেই কারণেই অ্যানালমেন্ট করেই নুসরাতের সঙ্গে আলাদা হতে চান নিখিল।

এনএনআর/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply