ফেসবুকে নারীদের চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে ভারতে পাচার করতো চক্রটি

|

ভারতের বেঙ্গালুরুতে নির্যাতনের শিকার বাংলাদেশি তরুণীকে কেরালা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। তরুণী নির্যাতনের ওই ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া ৬ জনকে ১৪ দিন করে রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। বেঙ্গালুরু পুলিশ এ তথ্য জানিয়েছে।

আজ (২৯ মে) বিকালে তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার মো. শহীদুল্লাহ এক ব্রিফিংয়ে জানান, টিকটিক ভিডিও তৈরির জন্য তরুণ-তরুণীদের নিয়ে ফেসবুক গ্রুপ খোলা হয়, যার মূল পৃষ্ঠপোষক একটি আন্তর্জাতিক মানবপাচার চক্র। গ্রুপের নারী সদস্যদের উচ্চ বেতনের চাকরির লোভ দেখিয়ে ভারতে পাচার করে আসছিল ওই চক্রটি। যার মূল আস্তানা বেঙ্গালুরুর আনন্দপুর। ভারত ও মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশে এ চক্রের নেটওয়ার্ক বিস্তৃত।

এই পুলিশ কর্মকর্তা আরও জানান, এই ফেসবুক গ্রুপে সুনির্দিষ্ট কিছু সদস্য আছে, যারা গ্রুপের নারী সদস্যদের ভারতের বিভিন্ন মার্কেট, সুপারশপ, বিউটি পার্লারে ভালো বেতনে চাকরির প্রলোভন দিয়ে পাচার করে আসছিল। চুক্তির ভিত্তিতে ভারতের কয়েকটি রাজ্যের কিছু হোটেলে তারা চাহিদামতো বিভিন্ন বয়সের মেয়েদের পাঠিয়ে দিতো।

ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, রিফাদুল ইসলাম ওরফে ‘টিকটক হৃদয়’ বাংলাদেশ এবং ভারতের কয়েকটি রাজ্যের কিছু অপরাধীর সঙ্গে মিলে মানব পাচারের আন্তর্জাতিক চক্র গড়ে তুলেছিল। এ চক্রের সদস্যরা লেখাপড়ায় অমনোযোগী স্কুল-কলেজের ছেলেমেয়েদের টার্গেট করে তাদের বিদেশে পাচার করতো।

সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া ভিডিওটিতে এক বাংলাদেশি তরুণীকে বিবস্ত্র করে যৌন নির্যাতনের বিষয়ে তিনি বলেন, মেয়েদের কৌশলে নেশাজাতীয় কিছু বা মাদকদ্রব্য সেবন করিয়ে বা জোরপূর্বক বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ করে চক্রটি। পালানোর চেষ্টা করলে এ ভিডিও তাদের পরিবারের কাছে পাঠিয়ে দেয়ার হুমকি দিতো তারা।

ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ার পর বৃহস্পতিবার বেঙ্গালুরু শহর থেকে ছয়জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এর আগে, বাংলাদেশ পুলিশ রিফাদুল ওরফে ‘টিকটক হৃদয়’কে শনাক্ত করে। বৃহস্পতিবার রাতে রিফাদুলসহ অজ্ঞাতপরিচয় আরও চারজনকে আসামি করে হাতিরঝিল থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগী মেয়েটির বাবা।

সংবাদ সম্মেলনে উপকমিশনার মো. শহীদুল্লাহ জানান, যথাযথ নিয়ম মেনে আসামিদের দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply