এক দশকে ‘দীপ্ত’র সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প

|

এক দশক আগেও দেশের পার্বত্য চট্টগ্রামের অনেক পাহাড়ি অঞ্চলে ছিলো না বিদ্যুতের ছোঁয়া। তাই সূর্য ডুবার সঙ্গে সঙ্গেই এসব অঞ্চলের মানুষের জীবনযাত্রা স্থবির হয়ে যেত। বিদ্যুতের অনুপস্থিতিতে সন্ধ্যার পর দৈনন্দিন কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া প্রায় অসম্ভব ছিল তাদের।

আজ ১৬ মে, আন্তর্জাতিক আলোক দিবস। প্রত্যন্ত এই পাহাড়ি জনপদের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জীবনে বিদ্যুতের আলো পৌঁছে দিতে ২০১১ সালের এই দিনে নবায়নযোগ্য জ্বালানি শক্তি ব্যবহার কার্যক্রম শুরু করে ‘দীপ্ত’।

বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য বান্দরবান, খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটি জেলার ২৫টি গ্রামে ২ হাজার ৫৯১টি সোলার হোম সিস্টেম স্থাপন করা হয়। এরফলে এই গ্রামগুলোতে সন্ধ্যার পরেও থাকছে জীবিকা নির্বাহের কাজ এবং প্রাণচঞ্চলতা। সামাজিক ও অর্থনৈতিক অবস্থার যেমন পরিবর্তন হয়েছে, তেমনি জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে সক্রিয় ভূমিকা রাখছে ‘দীপ্ত’। এই প্রকল্পের আওতায় ১৫ হাজারেরও বেশি মানুষের ঘরে সৌর বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়েছে।

‘দীপ্ত’র এক দশক উপলক্ষে ‘সাসটেইনেবল অ্যান্ড রিনিউঅ্যাবল এনার্জি ডেভেলপমেন্ট অথোরিটি’র চেয়ারম্যান ও অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ আলাউদ্দিন বলেন, নবায়নযোগ্য শক্তির উন্নয়ন এবং প্রসারে যারা কাজ করে সকলেই আমাদের সহযাত্রী। নবায়নযোগ্য শক্তি খাতে কাজ করে ‘দীপ্ত’ দশ বছর পূর্ণ করেছে এবং তারা দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় মানুষের মধ্যে বিদ্যুৎসেবা পৌঁছে দিয়েছে। আগামীতে প্রকল্পটি কৃষিসহ অন্যান্য খাতে ও বিস্তৃত হবে আশা করি।

পার্বত্য অঞ্চলের পিছিয়ে পড়া জনপদে সৌর বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ায় আন্তর্জাতিকভাবে সুনাম অর্জন করেছে এই প্রকল্পটি। স্বীকৃতি স্বরূপ ২০১৮ সালে ‘দীপ্ত’ ‘এশিয়া রেসপন্সিবল এন্ট্রাপ্রেনারশিপ অ্যাওয়ার্ড’ পেয়েছে। এছাড়া জাতিসংঘ প্রণীত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা এসডিজি ৮ (ডিসেন্ট ওয়ার্ক এন্ড ইকোনমিক গ্রোথ) ও ১৩ (ক্লাইমেট এ্যাকশন) অর্জনে বাংলাদেশ সরকারের সহযোগী হিসেবে কাজ করছে ‘দীপ্ত’। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে উৎপাদিত বিদ্যুতের ব্যবহার কমিয়ে নবায়নযোগ্য জ্বালানি শক্তি ব্যবহারের উপর নির্ভরতা স্থাপন করে স্বনির্ভর বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে কাজ করছে ‘দীপ্ত’।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply