জামালপুরে চাঁদা না দেওয়ায় রেস্টুরেন্টে হামলা, হত্যার হুমকি

|

স্টাফ রিপোর্টার:

জামালপুর শহরের সরদারপাড়ায় চাঁদা না দেওয়ায় একটি রেস্টুরেন্টে সন্ত্রাসী হামলা করেছে স্থানীয় দুই চিহ্নিত সন্ত্রাসী। গতকাল শনিবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।

সন্ত্রাসীরা রেস্টুরেন্টের মালিক যমুনা টিভির জামালপুরের স্টাফ রিপোর্টার শোয়েব হোসেন ও তার ব্যবসায়িক অংশীদারদের হত্যার হুমকি দিয়ে যাওয়ার সময় রেস্টুরেন্টের শাটার এবং একটি মোটরসাইকেল কুপিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত করে।

সূত্র জানায়, যমুনা টিভির সাংবাদিক শোয়েব হোসেন সম্প্রতি তার কয়েকজন বন্ধুকে নিয়ে জামালপুর শহরের সরদারপাড়ায় শাহী চাপ-কাবাব এবং বিরিয়ানি ঘর নামে একটি রেস্টুরেন্ট ব্যবসা শুরু করেন। শোয়েব হোসেন তার বন্ধুদের নিয়ে গতকাল শনিবার রাতে রেস্টুরেন্ট বন্ধ করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। রাত পৌনে ১২টার দিকে প্রথম দফায় স্থানীয় দুই চিহ্নিত সন্ত্রাসী জিকু ও শিপন মদ্যপ অবস্থায় রেস্টুরেন্টে হানা দেয়। তারা সাংবাদিক শোয়েব হোসেনের কাছে মোটা অংকের চাঁদা দাবি করে। চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় জিকু ও শিপন ক্ষুব্ধ হয়ে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ ও রেস্টুরেন্ট বন্ধ করে দেওয়াসহ শোয়েব হোসেনকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়ে চলে যায়।

এর মিনিট দশেক পর জিকু ও শিপন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে শোয়েব হোসেনকে হত্যার উদ্দেশ্যে ফের তার রেস্টুরেন্টে হানা দেয়। এ সময় ভেতর থেকে শাটার বন্ধ করে দেওয়া হলে সন্ত্রাসীরা রামদা দিয়ে রেস্টুরেন্টের শাটার কুপিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত করে। তারা শোয়েব হোসেনের ব্যবসায়ী অংশীদার সুজাউর রশিদ সুজনের মোটরসাইকেল কোপায় এবং বাইরে বের হলে সাংবাদিক শোয়েবকে হত্যার হুমকি দেয়। রেস্টুরেন্টের ভেতরে আটকাপড়া শোয়েব হোসেন দ্রুত জামালপুর সদর থানায় খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে আসার আগেই হুমকি দিয়ে কেটে পড়ে সন্ত্রাসীরা।

সন্ত্রাসী হামলাকারীদের চিহ্নিত করতে পুলিশ ওই রেস্টুরেন্ট থেকে সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছে। এই সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় সাংবাদিক শোয়েব হোসেন ও তার ব্যবসায়ী অংশীদারেরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।

সাংবাদিক শোয়েব হোসেন বলেন, হামলাকারীরা মূলত চাঁদার জন্য এসেছিল। তাদের সাথে আমার বা আমার ব্যবসায়ী অংশীদারদের কোনো পূর্ব শত্রুতা ছিল না। এ ঘটনায় সরদারপাড়া এলাকার মৃত হামানুর রহমানের ছেলে জিকু ও নয়াপাড়া এলাকার বাবুল মিয়ার ছেলে শিপনকে অভিযুক্ত করে হামলার সিসিটিভি ফুটেজসহ জামালপুর সদর থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছি।

জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রেজাউল ইসলাম খান বলেন, আমি ঘটনা শোনার সাথে সাথে রাতে পুলিশ পাঠিয়েছি। লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নিবো।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply