সাবেক এসপি বাবুল আক্তারসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের

|

মিতু হত্যা মামলায় সাবেক এসপি ও স্বামী বাবুল আক্তারসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন মিতুর বাবা।

এর আগে চট্টগ্রাম আদালতে চূড়ান্ত রিপোর্ট জমা দিয়েছে পিবিআই। রিপোর্টে বলা হয়, মিতুর স্বামী সাবেক এসপি বাবুল আক্তারের দায়ের করা এজহার অসত্য। কয়েকজন সহযোগীর মাধ্যমে হত্যার সাথে তিনি নিজে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে।

এই রিপোর্টে বাবুল আক্তারকে প্রধান আসামী করে আলাদা মামলার সুপারিশ করেছে পিবিআই।

আজ বুধবার (১২ মে) দুপুরে মিতু হত্যা মামলার সবশেষ অবস্থা জানাতে ব্রিফিং করে পিবিআই। ডিআইজি বনজ কুমার বলেন, চট্টগ্রামে মিতু হত্যার ঘটনায় বাবুল আক্তারকে এখনো গ্রেফতার দেখানো হয়নি। তবে হত্যাকাণ্ডে তার সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় বাবুল আক্তারকে প্রধান আসামি করে মিতুর বাবা বাদি হয়ে হত্যা মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। মামলা হলে তাকে গ্রেফতার করা হবে।

এসময় বনজ কুমার বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে অনেক প্রশ্নের উত্তর সঠিকভাবে দিতে পারেননি বাবুল আক্তার।

পাঁচ বছর আগে চট্টগ্রামে মাহমুদা খানম (মিতু) হত্যার ঘটনা ঘটে। এ মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গত সোমবার (১০ মে) বাবুল আক্তারকে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে নেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ৫ জুন ভোরে চট্টগ্রাম শহরের জিইসি মোড়ে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় মাহমুদা খানম মিতুকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয়। ওই সময় তার স্বামী তৎকালীন পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার ঢাকায় অবস্থান করছিলেন। চট্টগ্রামে ফিরে তিনি পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে হত্যা মামলা করেন।

মামলায় তিনি দাবি করেন, জঙ্গিবিরোধী কার্যক্রমের তিনি জড়িত থাকায় তার স্ত্রী আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু হয়ে থাকতে পারেন। তবে সপ্তাহ দুয়েকের মাথায় তদন্তে নাটকীয় মোড় আসে। সন্দেহের তালিকায় উঠে আসে বাবুল আক্তারের নামও। পরে তাকে চাকরি থেকে অবসর নিতে হয়। মিতু হত্যার পর বাবুল আক্তার প্রথমে ঢাকার মেরাদিয়ায় শ্বশুরবাড়িতে উঠেছিলেন। প্রথমে তাকে নির্দোষ বলে গণমাধ্যমে বিবৃতি দিলেও পরে বাবুল আক্তারের শ্বশুর মোশাররফ হোসেন ও শাশুড়ি সাহেদা মোশাররফ হত্যাকাণ্ডের জন্য মেয়ের জামাইকে দায়ী করা শুরু করেন।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply