গণপরিবহনে মলম পার্টির ইফতার ফাঁদ, আটক ৪

|

ঈদ আসলেই উৎপাত বাড়ে অজ্ঞান ও মলম পার্টির। গণপরিবহনের যাত্রীদের টার্গেট করে টাকা-পয়সা হাতিয়ে নেয় চক্রগুলো। এবারের ঈদেও কয়েকটি চক্র সক্রিয় রয়েছে ঢাকা ও আশাপাশের এলাকায়। এমন একটি চক্রের চার সদস্যকে আটক করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। যাদের কেউ কেউ ১৫-১৬ বছর ধরে এই কাজ করে আসছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।

হাজি ইমরান নামে পরিচিত ইমরান হোসেন প্রায় দেড় দশক ধরে অজ্ঞান পার্টি বা মলম পার্টির সঙ্গে জড়িত। গণপরিবহনে পণ্য বিক্রির নামে মানুষকে বোকা বানানোই তার পেশা। গত কয়েকদিন ধরে তাকে অনুসরণ করে গুলশান বিভাগ গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল। তাদের অনুসন্ধান থেকে জানা যায় দক্ষিণখান রেলগেইটের একটি দোকান থেকে মলম বানানোর ট্যাবলেট কেনেন ইমরান।

এরপর এই ট্যাবলেট দিয়ে নিজের বাসায় বসেই তৈরি করেন মানুষকে অজ্ঞান করার মলম। রোজার সময় গণপরিবহনে কেউ ইফতারের জন্য খেজুর বা জুস কিনতে চাইলে ইমরান তাদেরকে দেয় অজ্ঞান করার ঔষধ মিশ্রিত জুস। এই অপরাধে গত পনের বছরে অন্তত চারবার আটক হয়েছিলো ইমরান। কিন্তু ছাড়া পেয়েই আবার ফিরেছেন একই পেশায়।

ইমরানকে আটকের পর তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে বিমানবন্দর সড়কের একটি বাস থেকে আটক করা হয় তার তিন সহযোগীকে। এদের মধ্যে দুইজন প্রায় দশ বছর ধরে আছে এই পেশায়। এদের কাজ ভাগ করে দিতো দলনেতা ইমরান।

রাজধানী ও আশাপাশের কয়েকটি রুটে বিশেষ করে ঢাকা-মাওয়া ও ঢাকা-আরিচা রুটে সক্রিয় মলম ও অজ্ঞান পার্টির কয়েকটি চক্র।

গুলশান বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মশিউর রহমান (ডিবি) জানান, ঢাকা থেকে অন্যান্য শহরগামী গাড়িগুলোতে কখনও কবিরাজ সেজে বা কখনো পাশে বসা যাত্রী হিসেবে যাত্রীদের ইফতারে জুস বা খেজুর খেতে দেয়। এসব খেজুর বা জুসের মধ্যে মিশিয়ে দেয় বিপুল পরিমাণ ঘুমের ওষুধ।

সম্প্রতি কুড়িল ফ্লাইওভারের উপর বগুড়ার এক যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ ধারণা করছে এই চক্রের সদস্যরা মেরে তার কাছ থেকে সবকিছু নিয়ে চলে যায়।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply