দক্ষিণ কোরিয়ার প্রশংসা করলেন কিম জং উন

|

দুই কোরিয়ার মাঝে সম্প্রীতির বন্ধন দৃঢ় করার উদ্যোগ নেয়ায় সিউলের প্রশংসা করলেন উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন। সফলভাবে শীতকালীন অলিম্পিক আয়োজনের পাশাপাশি সমন্বিত দল গঠনের মতো উদ্যোগ নেয়ায় দক্ষিণ কোরিয়ার ভূয়সী প্রশংসা করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন তিনি। এদিকে উত্তর কোরিয়ার ইতিবাচক আচরণকে স্বাগত জানিয়েছে চীন। তবে এত কিছুর পরও পিয়ংইয়ং এর অবস্থানকে নেতিবাচকভাবেই দেখছে ওয়াশিংটন।

একই পতাকাতলে অংশ নেয়া কিংবা সমন্বিত আইস হকি দলের পারফরমেন্সের মতো বিরল ঘটনার সাক্ষী এবারের শীতকালীন অলিম্পিক। এমনকি ৫০ এর দশকে কোরীয় যুদ্ধের পর এই প্রথম পিইয়ংইয়ং থেকে ক্ষমতাসীন পরিবারের কেউ সিউল সফর করলেন। দক্ষিণ কোরিয়ার নেতাদের সাথে দফায় দফায় সাক্ষাতও করেন কিম জং উনের বোন কিম ইয়ো জং।

তবে এসব ঘটনা ম্লান করে দিয়েছেন উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা। সবাইকে অবাক করে দিয়ে চির বৈরি দক্ষিণ কোরিয়ার প্রশংসায় পঞ্চমুখ কিম জন উন। সফলভাবে শীতকালীন অলিম্পিক আয়োজনের পাশাপাশি, দুই কোরিয়ার মাঝে সম্প্রীতির বন্ধন দৃঢ় করার উদ্যোগ নেয়ায় প্রশংসা করলেন সিউলের।

কিম জং উন বলেন, শীতকালীন অলিম্পিকের মাধ্যমে দক্ষিণ কোরিয়ার সাথে সম্পর্কন্নোয়নের যে ধারার সূচনা হয়েছে তা অব্যাহত থাকবে বলে আশা করছি। এই উদ্যোগ দুই কোরিয়ার মধ্যে যুদ্ধ উত্তেজনা কমিয়ে সম্প্রীতি এবং সৌহার্দ্য স্থাপনে বড় ভূমিকা রাখবে। আশা করছি, সিউল ও পিইয়ংইয়ং এর মধ্যেকার বিরাজমান সমস্যাগুলো কমে আসবে।

পিইয়ংইয়ং এর এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে চীন। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র গেং শুয়াং বলেন,  গেল কয়েক বছরের মধ্যে দুই কোরিয়ার সম্পর্ক এখন সবচেয়ে ভালো। এরইমধ্যে আলোচনায় বসতে রাজিও হয়েছে দেশদুটি। যাতে উঠে আসবে পরমাণু, সামরিকসহ বিভিন্ন ইস্যু। সম্পর্কোন্নয়নের এই উদ্যোগকে আমরা স্বাগত জানাই। এখন খেয়াল রাখতে হবে, কোরীয় উপদ্বীপ অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠায় এই আলোচনা যেনো কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।

এদিকে উত্তর কোরিয়ার এই অবস্থান পরিবর্তন নিয়ে এখনই কোনো মন্তব্য করতে রাজি নয় যুক্তরাষ্ট্র। পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন বলেন, দুই কোরিয়ার বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে মন্তব্য করার সময় আসেনি। কারণ ওয়াশিংটনের সাথে আলোচনার টেবিলে বসতে এখনও উদ্যোগ নেয়নি পিইংয়ইয়ং। যে সব শর্ত মানতে হবে সেগুলোর ব্যাপারেও কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। তাই দেশটি সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানের এখনও কোনো পরিবর্তন আসেনি।

অন্যদিকে পরমাণু কর্মসূচি এবং সামরিক উত্তেজনা কমানোসহ বিভিন্ন ইস্যুতে আলোচনার জন্য উত্তর কোরিয়া প্রতিনিধি পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে বেইজিং।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply