আজ ঋষি কাপুরের প্রথম প্রয়াণদিন

|

আজ ঋষি কাপুরের প্রথম প্রয়াণদিন

বলিউড ইন্ডাস্ট্রির জন্য ২০২০ সাল একটি ভয়ানক ও অভিশপ্ত বছর। ২০২০ সাল জুড়ে একাধিক নক্ষত্রকে হারিয়েছে বলিউড। তবে বলিউড ইন্ডাস্ট্রির যে মৃত্যুগুলো সবচেয়ে বেশি অবাক করে দিয়েছিলো সেটি হলো- ইরফান খান, ঋষি কাপুর ও সুশান্ত সিং রাজপুতের চলে যাওয়া।

২০২০ সালের ২৯ এপ্রিল না ফেরার দেশে পাড়ি জমান ইরফান খান। তার পরদিনই অর্থাৎ ৩০ এপ্রিল মারা যান বলিউডের বর্ষীয়ান তারকা ঋষি কাপুর। দু’জনই ছিলেন ক্যানসারে আক্রান্ত। আজ ৩০ এপ্রিল (শুক্রবার) ঋষি কাপুরের প্রথম প্রয়াণদিন।

ঋষি কাপুর ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ৩০ এপ্রিল ২০২০ সালে মুম্বাইয়ের একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৬৭ বছর।

ঋষি কাপুর ১৯৫২ সালের ৪ সেপ্টেম্বর বোম্বের এক পাঞ্জাবী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন অভিনেতা-নির্মাতা রাজ কাপুর ও কৃষ্ণা রাজ কাপুর দম্পতির দ্বিতীয় সন্তান এবং অভিনেতা পৃথবীরাজ কাপুরের নাতি। তার বড় ভাই রণধীর কাপুর ও ছোট ভাই রাজিব কাপুর এবং বোন ঋতু নন্দা ও রাইমা জৈন।

১৯৭০ সালে বাবা রাজ কাপুর পরিচালিত ‘মেরা নাম জোকার’ ছবির মধ্য দিয়ে শিশু শিল্পী হিসেবে অভিনয়ে আত্মপ্রকাশ করে জাতীয় চলচ্চিত্রে পুরস্কার জিতে নেন ঋষি কাপুর। এরপর ববি চলচ্চিত্রে ডিম্পল কাপাডিয়ার সাথে প্রথম প্রধান চরিত্রে অভিনয় করার সুযোগ পান এবং ১৯৭৪ সালে ফিল্মফেয়ার শ্রেষ্ঠ অভিনেতার পুরস্কার লাভ করেন।

এখানেই শেষ নয়, ১৯৭৩ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত তিনি ৯২টি রোমান্টিক চলচ্চিত্রে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন। যার মধ্যে ৩৬টি ছিলো সুপার-ডুপার হিট। এছাড়া ১৯৭৩ থেকে ১৯৮১ সাল এই সময়ের মধ্যে স্ত্রী নীতু সিংয়ের সঙ্গে জুটিবদ্ধ হয়ে ১২টি ছবিতে কাজ করেছেন তিনি।

বলিউডে ঋষি কাপুরের প্রশংসিত সিনেমাগুলোর মধ্য রয়েছে ‘ববি’ (১৯৭৩), ‘কর্জ’ (১৯৮০), ‘চান্দিনী’ (১৯৮৯), ‘লাইলা মাজনু’ (১৯৭৬), ‘প্রেম রোগ’ (১৯৮২), ‘হিনা’ (১৯৯১), ‘সারগম’ (১৯৭৯), ‘বোল রাধা বোল’ (১৯৯২), ‘নাগীনা’ (১৯৮৬) ইত্যাদি।

২০০৮ সালে ফিল্মফেয়ারের মঞ্চে ঋষি কাপুরকে আজীবন সম্মাননা দেওয়া হয়। ২০১১ সালে ‘দো দুনি চার’ ছবিতে অভিনয়ের সুবাদে ফিল্মফেয়ারে সেরা ক্রিটিকস চয়েজ অ্যাওয়ার্ড ঘরে তুলেছিলেন তিনি। এরপর ২০১৭ সালে ‘কাপুর অ্যান্ড সনস’-এ কাজ করে সেরা পার্শ্ব অভিনেতার পুরস্কার জেতেন।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply