ফেনীতে সাংবাদিক ও প্রবাসীর ওপর হামলা

|

প্রতীকী ছবি।

ফেনীতে সাংবাদিক আতিয়ার সজলসহ ২ জনকে হামলার ঘটনায় ৮ জনের বিরূদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। প্রধান আসামি জাহিদের ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করেছে পুলিশ।

ফেনী শহরে সন্ত্রাসীদের জিম্মি দশা থেকে এক প্রবাসীকে উদ্ধারে পুলিশকে সহায়তা করতে গিয়ে সময় টিভির রিপোর্টার আতিয়ার সজলসহ ২জন সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় ফেনী মডেল থানায় ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। এ মামলায় আদালতের কাছে গ্রেফতারকৃত প্রধান আসামি গোলাম রাব্বানী জাহিদের ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়।

শুক্রবার দুপুরে সাইফুল আলম ফারুক বাদি হয়ে ২ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৮ জনের বিরূদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় বেআইনীভাবে দলবদ্ধ হয়ে অবরুদ্ধ করে রাখা, হত্যার উদ্দেশ্যে মারধর করে গুরুতর জখম, চুরি, ক্ষতিসাধন ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের অপরাধে রেকর্ড করা হয়।

এ মামলার প্রধান আসামি ঘটনাস্থল থেকে আটক গোলাম রাব্বানী জাহিদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইমরান হোসেন আদালতের কাছে ৫ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন।

আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সামসাদ জাহান খান আগামী রোববার রিমান্ড আবেদনের শুনানির দিন ধার্য করার নির্দেশনা দিয়ে আসামি জাহিদকে ফেনী জেলা কারাগারে প্রেরণ করেন।

মামলার বিবরণে বলা হয়-প্রধান আসামি জাহিদের নেতৃত্বে আসামিরা বাদি ফারুককে শহরের লতিফ টাওয়ারের নিচে ডেকে নেয়। পরে চা খাওয়ার কথা বলে পাশে জালালিয়া রেস্টুরেন্টে নিয়ে যায়। সেখানে পূর্ব থেকে অবস্থান নেয়া আসামিরা ফারুককে জোরপূর্বক অবরুদ্ধ করে রাখে।

ফারুক আসামিদের জিম্মিদশা থেকে বাঁচতে কৌশলে মোবাইল ফোনে তার পূর্ব পরিচিত সময় টিভির রিপোর্টার আতিয়ার সজলের কাছে মোবাইল ফোনে সাহায্য চান। এসময় সজল ডিবি পুলিশ নিয়ে ফেনী শহরের মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের সামনে জালালিয়া রেস্টুরেন্টে গেলে দু’পক্ষের মধ্যে সমঝোতা হয়ে গেছে বলে জাহিদ পুলিশকে জানায়।

এ কথা বিশ্বাস করে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে চলে যায়। পুলিশ চলে যাওয়ার পরপরই এক পর্যায়ে জাহিদের নেতৃত্বে আসামিরা পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী ফারুকের ওপর হামলা করে। এসময় সাংবাদিক সজল প্রবাসী ফারুককে বাঁচাতে চাইলে পুলিশ কেন এনেছিস’ এই কথা বলে সজলের উপরও জাহিদের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা অতর্কিত হামলা করে তার মোবাইল ভাঙচুর করে ও পকেটে থাকা টাকা পয়সা ছিনিয়ে নেয়। হামলায় ফারুক ও সজল আহত হয়। একপর্যায়ে হামলাকারীরা কুমিল্লা বাসস্ট্যান্ড এলাকার লতিফ টাওয়ারের সামনে গিয়ে দ্বিতীয় দফায় কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে।

জাহিদ ফুলগাজী উপজেলার দরবারপুর ইউনিয়নের ধলিয়া গ্রামের মৃত শেখ আহম্মদের ছেলে। সে বর্তমানে শহরের শান্তিধারা আবাসিক এলাকায় বসবাস করে।

ফেনী মডেল থানার পরিদর্শক (অপারেশন) মো. আদিল মাহমুদ জানান আদালত রিমান্ড মঞ্জুর করলে জাহিদকে জিজ্ঞাসাবাদে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও জড়িতদের পরিচয় নিশ্চিত করা যাবে। এ ঘটনায় জড়িত সকলকেই গ্রেফতার করতে অভিযান চলছে বলে তিনি জানান।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply