ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ঘটনায় পুলিশের ব্যর্থতা নিয়েও তদন্ত চলছে: আইজিপি

|

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজত কর্মীদের ধ্বংসযজ্ঞ এলাকা ঘুরে দেখলেন আইজিপি বেনজীর আহমদ। এসময় তিনি জানিয়েছেন, জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ ঘটনায় পুলিশের ব্যর্থতা নিয়েও তদন্ত চলছে।

২৬ মার্চ মোদি বিরোধী আন্দোলনের নামে শহরের বিভিন্ন জায়গায় চালানো হয় ভয়াবহ তাণ্ডব। মসজিদে মাইকিং করে রেলস্টেশন, ভূমি অফিসের তথ্য ভাণ্ডার, জেলা প্রশাসনের অফিস, সার্কিট হাউজসহ সরকারি প্রায় সব স্থাপনায় চলে ধ্বংসযজ্ঞ। প্রায় তিনদিন ধরে চলা অচলাবস্থার পর ১৮টি মামলা করে পুলিশ। এতে আসামি হিসেবে ১০৭ জনের নাম উল্লেখ থাকলেও নির্দেশদাতাদের নাম নেই।

বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর হামলা চালানো এলাকা ঘুরে দেখেন পুলিশ প্রধান। এসময় তিনি বিভিন্ন ভুক্তভোগী মহলের সাথে মতবিনিময় করেন। পুলিশ প্রধান বলেন, ছবি ও ফুটেজ দেখে হামলাকারীদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে।

আইজিপি বলেন, ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ বলছেন, রুহানি হুজুর এবং পলিটিক্যাল হুজুরদের চিহ্নিত করতে হবে। প্রত্যেকটি ঘটনাতেই পলিটিক্যাল হুজুরদের আইনের আওতায় আনা হবে।

তিনি বলেন, আপনাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীর ভয়ের কোনও কারণ নেই। রাষ্ট্র, আইন ও জনগণ আপনাদের পাশে আছে। আপনারা মামলা করুন, অবশ্যই হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন স্থাপনা পরিদর্শন শেষে প্রেস ক্লাবে বৃহস্পতিবার দুপুরে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

আইজিপি বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে ৩২ লাখ লোক বসবাস করে। তারা তাদের সন্তানদের দিনের শিক্ষা দেওয়ার জন্য মাদ্রাসা করেছে। ওই মাদ্রাসাগুলোতে ১৩ হাজার ছাত্র লেখাপড়া করছে। তাদের প্রতিদিন এক কোটি টাকা খরচ হয়। এ টাকার যোগান ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসী। কিন্তু এখন আপনাদের চিন্তা করতে হবে আপনাদের ভূমি অফিস ও রেকর্ড রুম আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। যার ক্ষতি আগামী ৫০ বছর ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীকেই বহন করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, ইসলামী শিক্ষার নামে আমাদের আলেম সমাজ এখন দুই ভাগে বিভক্ত। এক রুহানি হুজুর, আধ্যাত্মিক শক্তি সম্পন্ন। অপরটি রাজনৈতিক। আমাদের এদের চিহ্নিত করতে হবে। তিনি বলেন, রাজনৈতিক আলেম কারা কারা তাদের বিষয়ে খোঁজখবর রাখতে হবে। একইসঙ্গে সেদিনের ঘটনার ভিডিও ফুটেজ স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে থাকবে তার সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশের কাছে সরবরাহ করলেও যারা এই অপরাধের সঙ্গে জড়িত তাদের সহজেই আইনের আওতায় আনা যাবে। এজন্য তিনি সকলের সহযোগিতা চান।

এসময় র‍্যাবের মহাপরিচালক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন, এসবির প্রধান মনিরুল ইসলাম, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আনোয়ার হোসেন, পুলিশের ডিআইজি অপারেশনসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply