বাংলাদেশের বিপক্ষে কঠিন প্রতিশোধ নিলো নেপাল

|

অচেনা বাংলাদেশ, না কি তাদের সামর্থ্যের অভাব? ঠিক চেনা যায় না বাংলাদেশের ফুটবল দলকে। কখনো ভালো, কখনো এতটাই খারাপ যে মনেই হয় না, দু’দিন আগেই একই দলের সাথে দুর্দান্ত পারফরমেন্স দেখিয়েছিল তারা। প্রত্যাশার চাপ, দুর্বল পরিকল্পনা ও খেলোয়াড়দের অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসই হয়তো মাঠের পারফরমেন্সে প্রতিফলিত হলো ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্টের ফাইনালে স্বাগতিক নেপালের বিপক্ষে।

নেপালের ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় ম্যাচে নেপালের বিপক্ষে ড্র করলেও মাঠের ফুটবলে শিল্পের ছোয়া খুঁজে পাওয়া গিয়েছিল জামালদের পায়ে। খুব গুছানো ফুটবল খেলেছিলেন সেদিন। কিন্তু সেই নেপালের সঙ্গেই টুর্নামেন্টের ফাইনাল ম্যাচে ফুটবলের শিশুই মনে হচ্ছিলো সাদ ও জিকোদের। তাইতো ম্যাচে ২-১ গোলে হেরে শিরোপা খুইয়েছে বাংলাদেশ।

নেপালের দশরথ স্টেডিয়ামে ম্যাচের প্রথম মিনিট থেকে বাংলাদেশের উপর চাপ সৃষ্টি করে নেপালের ফরোয়ার্ডরা। তার বিপরীতে জামালদের ডিফেন্স ছিল একেবারেই নড়বড়ে। নেপালিরা বারেবারেই কিক নিচ্ছিলেন গোলে, বেশ কয়েকটি জিকো ঠেকিয়ে দিলেও প্রথমার্ধেই দুই গোল হজম করতেই হয় বাংলাদেশের। আর তাতেই স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশকে যে উপহার দিতে চেয়েছিলেন ফুটবলাররা সে স্বপ্ন ভেঙ্গে চুরমার।

ম্যাচের ১৮ মিনিটে সানজোগ রয়ের স্কোরে ১-০তে এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা। প্রতিপক্ষের গতির কাছে কোনভাবেই টিকতে পারছিলেন না বাংলাদেশের ফুটবলাররা। তাইতো ম্যাচের ৪১ মিনিটে নেপালের সুপরিকল্পিত আক্রমণে আরও ১ গোল হজম করতে বাধ্য হয় বাংলাদেশ।

ডি বক্সে জিকোকে একা পেয়ে সুযোগ হাতছাড়া করেননি নেপালি ফরোয়ার্ড বিশাল রয়। স্কোর করে দলের জয়ের ভীত মজবুত করেছেন বিশাল রয়। দলকে এগিয়ে নিয়েছেন ২-০ গোলে। পরে অবশ্য এক গোল পরিশোধ করতে পেরেছে বাংলাদেশ, তবে ৮৩ মিনিটে মাহবুবুর রহমানের করা সেই গোলটি শুধুই ব্যবধান কমিয়েছে।

শেষ পর্যন্ত ১৯৯৯ সালে নেপালকে হারিয়ে সাফে স্বর্ণ জেতা বাংলাদেশের বিপক্ষে কঠিন এক প্রতিশোধ নিলো নেপাল। ২-১ গোলে ম্যাচ জিতে শিরোপা রেখে দিলো নিজেদের ঘরেই।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply