হেফাজত এখন বিএনপির ‘বি-টিম’ হয়ে কাজ করছে: চিফ হুইপ

|

চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী।

স্টাফ রিপোর্টার:

চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী বলেছেন, আন্দোলন করেন আপনারা আর গাড়িতে আগুন দেয়ার হুকুম দেয় বিএনপি। আর এতেই প্রমাণ হয় এরা বিএনপির বি টিম হয়ে কাজ করছে।

সোমবার দুপুরে মাদারীপুরের শিবচরে পদ্মা সেতুর রেল লাইনের ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ক্ষতিপূরণের চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে চিফ হুইপ ও আওয়ামী লীগ সংসদীয় দলের সাধারণ সম্পাদক নূর-ই-আলম চৌধুরী এসব কথা বলেন।

এদিন চিফ হুইপ উপজেলা পরিষদে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মুরাল, আইসিটি ল্যাব ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অটোমেশন উদ্বোধন, উপজেলা ভূমি অফিস ও জামিয়া মোহাম্মাদিয়া সামছুল উলূম মাদ্রাসা ও এতিমখানা ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর করেন।

চেক বিতরণী অনুষ্ঠানে চিফ হুইপ বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রীর আসা নিয়ে ধর্ম নিয়ে রাজনীতি শুরু হয়েছে। ধর্ম ব্যবহার করে রাজনীতি বঙ্গবন্ধু বন্ধ করে দিয়েছিল সংবিধানে। এই জিয়াউর রহমান বিএনপি ও জাতীয় পার্টি ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করার সুযোগ করে দেয়।
তারা রাজাকার আলবদর যুদ্ধাপরাধীদের কোথায় বসায় নাই?

প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার, মন্ত্রী, এমপি বানিয়েছে রাজনীতি করার সুযোগ করে দিয়েছে, নাগরিকত্ব দিয়েছে, রাজনীতি করার সুযোগ করে দিয়েছে। অথচ মসজিদ মাদ্রাসায় যা করেছে বঙ্গবন্ধু আর শেখ হাসিনাই করেছে। প্রতিটি উপজেলায় কোটি কোটি টাকা ব্যয় করে মসজিদ করে দিচ্ছে। করোনাকালে শেখ হাসিনাই মসজিদ মাদ্রাসায় খাবার ও টাকা দিয়েছেন। ধর্ম ব্যবহার করে যারা এমপি মন্ত্রী হয়েছিল কেউ কিন্তু কওমী মাদ্রাসাগুলোকে স্বীকৃতি দেয়নি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই স্বীকৃতি দিয়েছে।

শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় থাকায় চিফ হুইপ নিজ নির্বাচনী এলাকার আলেমদের ধন্যবাদ জানিয়ে আরও বলেন, যে আন্দোলন করা হচ্ছে। তার যুক্তি কী? তারা বলছে ভারতে মুসলমানদের উপর নির্যাতন হচ্ছে তাই তারা ভারতের প্রধানমন্ত্রীর আগমনে প্রতিবাদ করছে। আপনারা যদি এতই ধর্মভীরু হয়ে থাকেন, ভারতে মুসলমানদের নির্যাতনের প্রতিবাদে যদি আমাদের ছেলেদের আন্দোলনে নামাতেই পারেন। তাহলে সাহস করে মায়ানমার যান না কেন?

অসংখ্য মুসলমানদের হত্যা করলো লাখ লাখ মুসলমানদের দেশ থেকে তাড়িয়ে দিলো। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের আশ্রয় দিলো। তখনতো আন্দোলন দেখি নাই। তখনতো সাহস করে বলেন নাই। মুসলমানদের যদি কেউ অত্যাচার করে থাকে তাহলে সবচেয়ে বেশি করেছে মায়ানমার এখনও সেখানেই বেশি অত্যাচার হচ্ছে। সেখানে প্রতিদিন মুসলমানদের হত্যা করা হচ্ছে। এদেশে গাড়ি না পুড়িয়ে পারলে সেখানে গিয়ে প্রতিবাদ করেন।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মুনির চৌধুরী, জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন, পুলিশ সুপার মো. গোলাম মোস্তফা রাসেল পিপিএম, উপজেলা চেয়ারম্যান আ. লতিফ মোল্লা, পৌর মেয়র আওলাদ হোসেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান , উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মোঃ শাজাহান মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. সেলিম, পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি মো. তোফাজ্জেল হোসেন খান, সাধারণ সম্পাদক শংকর ঘোষ প্রমুখ।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply