দিনে ২০ থেকে ২২ ঘণ্টা কাজ করার জবাবে যা বললেন ভিসি কলিমুল্লাহ

|

দিনে ২০ থেকে ২২ ঘণ্টা কাজ করেন কলিমুল্লাহ!

শিক্ষামন্ত্রীর আস্কারা ও আশ্রয়-প্রশ্রয়েই ইউজিসি পক্ষপাতমূলক ও বিভ্রান্তিকর রিপোর্ট দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ। এমন মানসিকতা নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন কাম্য নয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমুউল্লাহ বলেন, তার বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির সব অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন তিনি।

এদিকে গতকাল রাতে বেসরকারি চ্যানেল যমুনা টেলিভিশনে সরাসরি আমজনতা (রাজনীতি সিজন-২) অনুষ্ঠানে যুক্ত হয় কলিমুল্লাহ। সেখানে তাকে প্রশ্ন করা হয়, ২০ থেকে ২২ ঘণ্টা কাজ করেন কীভাবে?

উত্তরে উপাচার্য কলিমুল্লাহ বলেন, করোনার কারণে আমরা বাসা থেকে ডিজিটালি কাজ করতে অভ্যস্ত হয়ে গেছি। এছাড়া ক্যাম্পাস বন্ধ, হল বন্ধ। অনলাইন ক্লাস এবং যে পরীক্ষা শুরু হয়েছিল তাও বর্তমানে বন্ধ করা হয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে। বলা হয়, ২৪ মে থেকে ক্লাস-পরীক্ষা শুরু করা যেতে পারে। এমতঅবস্থায় আপনি কোথায় থাকলেন সেটা খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বলে বিবেচিত হওয়ার সুযোগ নেই।

অনুষ্ঠানে তিনি আরও বলেন, আমরা কিছুদিন আগেও লকডাউনের মধ্যে ছিলাম। সুতরাং এই প্রশ্ন গুলো অবান্তর।

তবে যোগদানের পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে অধিকাংশ সময়ে অনুপস্থিত থাকার বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে কলিমুল্লাহ বলেন, করোনার কারণে আমরা ডিজিটালাইজেশনে অভ্যস্ত। ডিজিটালি আমরা প্রতিদিনের কাজ সম্পন্ন করেছি।

জানা যায়, উপাচার্য হিসেবে যোগদানের পর থেকে ১৩৫৬ দিন অতিবাহিত হয়েছে। এর মধ্যে তিনি ১১১৯ দিনই ক্যাম্পাসে না এসে ঢাকায় ছিলেন। অথচ উপাচার্য ঢাকায় সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ২০-২২ ঘণ্টা কাজ করেন বলে মিথ্যাচার করেছেন। তার সময়েই নকশা পরিবর্তনসহ যতো দুর্নীতি হয়েছে। তার নিকটাত্মীয়দের দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ভরিয়ে ফেলেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply