প্রযুক্তি খাতে স্থানীয় উদ্ভাবন উৎসাহিত করার উদ্যোগ নিয়েছে আফ্রিকা

|

প্রযুক্তি খাতে স্থানীয় উদ্ভাবন উৎসাহিত করার উদ্যোগ নিয়েছে আফ্রিকা। এ লক্ষ্যে, দেয়া হচ্ছে ‘আফ্রিকা প্রাইজ ২০২১’। পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছে ফেলনা প্লাস্টিক থেকে মূল্যবান ভেন্টিলেশন তৈরি, দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য অনলাইন ব্যাংকিং সেবা নিশ্চিত এবং কলা গাছের আশ থেকে তৈরি ব্যাগ। আয়োজকরা বলছেন, আফ্রিকার আর্থ সামাজিক উন্নয়নে বড় ভূমিকা রাখছে এই উদ্ভাবন।

করোনা মহামারির মধ্যে, কৃত্রিম শ্বাস-প্রশাসের যন্ত্র ভেন্টিলেটরের চাহিদা সারা বিশ্বেই আকাশচুম্বি। কিন্তু ব্যয়বহুল হওয়ায় বিশেষ এই ব্যবস্থা নেই বেশির ভাগ হাসপাতালেই। আফ্রিকার দরিদ্র জনগোষ্ঠির জন্য, কম খরচের এই ভেন্টিলেটর তৈরি করেছে নাইজেরিয়ার একদল তরুণ। যেখানে সাধারণ একটি ভেন্টিলেটরের দাম ২ হাজার ডলারের বেশি, সেখানে স্থানীয় প্রযুক্তির এ যন্ত্রে খরচ মাত্র একশ ডলার। মূলত থ্রিডি প্রিন্টারের মাধ্যমে ফেলনা প্লাস্টিক দিয়ে তৈরি করা হয় ভেন্টিলেরটি। দ্য ‘আফ্রিকা প্রাইজ ফর ইঞ্জিনিয়ারিং ইনোভেশন ২০২১’ এর সংক্ষিপ্ত তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে উদ্ভাবনটি।

আফ্রিকা প্রাইজ মনোনিত প্রার্থী বিলেসামি বলেন, সারা বিশ্বেই অক্সিজেনের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। বিশেষ করে আফ্রিকার হাসপাতাল গুলোতে এর সংকট বেশি। লাওসে প্রতি মিনিটে প্রয়োজন হয় ১৫ লিটার অক্সিজেন। এছাড়া দিনে প্রয়োজন ৩০০ সিলিন্ডার। সংকট সমাধানে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে এই ভেন্টিলেশন ব্যবস্থা। এর ব্যবহারও খুবই সহজ।

মনোনিতদের মধ্যে জায়গা পেয়েছে, অনলাইন ব্যাংকিং সেবা কার্যক্রম নিয়ে কাজ করা এই নারী উদ্ভাবক। তথ্য বলছে আফ্রিকার অর্ধেকের বেশি মানুষ এখনও ব্যাংকিং সেবার আওতায় বাইরে। তাই এই অনলাইন প্লাটফর্ম আফ্রিকার আর্থ সামাজিক উন্নয়নের বিশেষ অবদান রাখবে বলে ধারণা কর্তৃপক্ষের।

আফ্রিকান প্রাইজ মনোনিত প্রার্থী ফেইথ অ্যাডসেমোও বলেন, নাইজেরিয়ার বেশির ভাগ মানুষের ব্যাংকিং লেনদেনের সাথে সম্পৃক্ততা নেই। এটিই অর্থনৈতিক ভাবে পিছিয়ে পড়ার অন্যতম কারণ। এই অনলাইন সেবার মাধ্যমে লাখ লাখ মানুষের কাছে সহজেই পৌঁছে দিতে চাই ব্যাংকিক কার্যক্রম।

এছাড়া পরিবেশ দূষণ কমাতে প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধ করতে চান মরক্কোর এই উদ্যোক্তা। তিনি জানান, কলা গাছের আঁশ শুকিয়ে ঘরোয়া পদ্ধতিতে তৈরি করা হচ্ছে এক ধরণের শিট। যা দিয়ে বানানো হচ্ছে পরিবেশ বান্ধব হাত ব্যাগ। এবারের প্রযুক্তিগত এই প্রতিযোগিতার সংক্ষিত তালিকায় স্থান পেয়েছে ৯ দেশের ১৬ উদ্ভাবক। যার মধ্যে জায়গা করে নিয়েছেন ৬ নারী।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply