পরকীয়ার অভিযোগে স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যার ভিডিও ভাইরাল, প্রবাসী গ্রেফতার

|

শরীয়তপুর প্রতিনিধি:

শরীয়তপুরের ডামুড্যা উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের দক্ষিণপাড়া গ্রামে আমেনা বেগম (৩০) নামের এক গৃহবধূকে পরকীয়ার অভিযোগে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার পরে লাশের রক্তাক্ত ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে দেন ওই গৃহবধূর স্বামী নজরুল ইসলাম (৪২)।

মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে নজরুলের বসত ঘরে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনার ঘটেছে। পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে শরীয়তপুর জেলা কারাগারে পাঠিয়েছে।

ডামুড্যা থানা সূত্র জানায়, ডামুড্যা উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের গঙ্গেশকাঠি গ্রামের মৃত আব্দুল আজিজ মাদবরের মেয়ে আমেনা বেগম। তার স্বামী পাশের গ্রামের মৃত হোসেন মাতুব্বরের ছেলে নজরুল ইসলাম। নজরুল সৌদি প্রবাসী ছিলেন। ছয় মাস আগে দেশে ফিরে আসেন। দেশে ফেরার পর তাদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ শুরু হয়। প্রায়ই তাদের মধ্যে ঝগড়া হতো।

মঙ্গলবার সকালে নজরুল তার স্ত্রী আমেনাকে বসত ঘরে আটকে কুঠার দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। এরপর লাশের রক্তাক্ত ভিডিও ধারণ করে তা ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়া হয়। খবর পেয়ে গ্রামবাসী তাকে ঘরের মধ্যে আটকে রেখে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ তাকে গ্রেফতার করার পর গ্রামবাসী তাকে গণপিটুনি দেয়ার চেষ্টা করে। এ সময় গ্রামবাসীকে ছত্রভঙ্গ করতে গিয়ে গোসাইরহাট সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তানভির হাসান ও দুজন পুলিশ সদস্য আহত হন।

গোসাইরহাট সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তানভির হাসান বলেন, পরকীয়ার জের ধরে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কলহ চলছিল। এ কারণে হত্যাকাণ্ডটি ঘটেছে। নজরুল স্ত্রীকে হত্যা করার পর লাশের ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়। তিনি তাকে হত্যা করেছেন এমন বিবরণও দেন। তার এ ঘটনায় গ্রামবাসী বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। তাকে গণপিটুনি দিয়ে মেরে ফেলার জন্য হামলা চালায়। পুলিশ গ্রামবাসীকে শান্ত করে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে।

নিহত আমেনার ভাই দেলোয়ার হোসেন বলেন, নজরুল বিদেশ থেকে আসার পরই আমার বোনকে মারধর শুরু করে। প্রায়ই সে বোনকে মারপিট করত। আমরা তাকে অনেকবার সতর্ক করেছি, বুঝিয়েছি। কিন্তু সে নৃশংসভাবে তাকে হত্যা করবে ভাবতে পারিনি।

ডামুড্যা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এমারত হোসেন বলেন, নজরুল ইসলাম তার স্ত্রীকে হত্যার কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন। তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। লাশ শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্ত করার জন্য। আর মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন ওই গৃহবধূর স্বজনরা।

ইউএইচ/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply