ব্লগার অভিজিৎ রায় হত্যাকাণ্ডে ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড

|

ব্লগার ও লেখক অভিজিৎ রায় হত্যা মামলার বিচারকাজ শেষে রায় ঘোষণা করেছেন আদালত। রায়ে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অপরাধে ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড ও একজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়। গত ৪ ফেব্রুয়ারি আদালত রাষ্ট্রপক্ষ এবং আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের এই দিন ধার্য করেন।

মঙ্গলবার রায় ঘোষণা করেন ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মজিবুর রহমান। রায়ে শফিউর রহমান ফারাবির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, মেজর (চাকরিচ্যুত) সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল হক ওরফে জিয়া, মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন (সাংগঠনিক নাম শাহরিয়ার), আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব ওরফে সাজিদ ওরফে শাহাব, আকরাম হোসেন ওরফে আবির, মো. আরাফাত রহমান। তবে আসামিদের মধ্যে মেজর জিয়া ও আকরাম পলাতক। অন্য আসামিরা কারাগারে আটক আছেন।

এ মামলায় মোট ৩৪ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৮ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন আদালত। গত ২১ জানুয়ারি এ মামলার তৃতীয় তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের পরিদর্শক মনিরুল ইসলাম শেষ সাক্ষী হিসেবে আদালতে সাক্ষ্য দেন। এরপর গত ২৭ জানুয়ারি কারাগারে আটক চার আসামি আদালতে আত্মপক্ষ সমর্থনে নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন। রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপনে ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট গোলাম সারোয়ার জাকির ছয় আসামির সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দাবি করেন।

প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি রাত সোয়া ৯টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের পাশে বিজ্ঞানবিষয়ক লেখক অভিজিত রায়কে সন্ত্রাসীরা চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। এ সময় তার স্ত্রী রাফিদা আহমেদ আহত হন। অভিজিৎ ও রাফিদা যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক। অমর একুশে গ্রন্থমেলা উপলক্ষে তারা দেশে এসেছিলেন। মেলা থেকে বেরিয়ে বাসায় ফেরার পথে তারা হামলার শিকার হন।

আহত অবস্থায় অভিজিৎকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে রাত সাড়ে ১০টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এর পরের দিন ২৭ ফেব্রুয়ারি অভিজিতের বাবা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ্যা বিভাগের সাবেক অধ্যাপক বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অজয় রায় শাহবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply