বেসরকারিভাবে টিকা আনার কোনো পরিকল্পনা নেই: পাপন

|

এখনই বেসরকারিভাবে করোনার টিকা আনার কোনো পরিকল্পনা নেই। দ্বিতীয় চালানে ২০ থেকে ৩০ লাখ ডোজ করোনার ভ্যাকসিন আসবে। ২২ ফেব্রুয়ারি আসবে এই চালান। সোমবার রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে টিকা নেওয়ার পর সাংবাদিকদের এ কথা জানান বেক্সিমকো ফার্মার সিইও নাজমুল হাসান পাপন।

তিনি জানান, এর আগে ৫০ লাখ ডোজ টিকা আনার সিদ্ধান্ত হলেও এখন চাহিদার ওপর নির্ভর করে চালান আনা হবে। চাহিদার চেয়ে বেশি টিকা আনা হলে তা নষ্ট হয়ে যেতে পারে। এছাড়া, বেসরকারি উদ্যোগে টিকা আনার সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি বলেও জানান তিনি।

বেক্সিমকো’র সিইও জানান, ক্রিকেটারদের টিকা দেয়ার বিষয়টি চূড়ান্ত হয়নি। তবে দু-এক দিনের মধ্যে এ বিষয়ে জানানো হবে।

এখনই বেসরকারিভাবে টিকা আনার কোনো পরিকল্পনা নেই জানিয়ে পাপন বলেন, নিজেদের জন্য বেসরকারি উদ্যোগে টিকা আনার কোনো প্রয়োজনীয়তা নেই, কারণ সবাই বিনামূল্যে টিকা পাচ্ছেন। ফলে এখনই বেসরকারি পর্যায়ে টিকা আসছে না।

বিশ্বের অনেক উন্নত দেশ এত ভালো ব্যবস্থাপনায় টিকা দিতে পারছে না উল্লেখ করে সকলকে টিকা নেওয়ার আহ্বান জানান পাপন।

অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা ‘কোভিশিল্ড’ ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে তৈরি হচ্ছে। এই টিকার তিন কোটি ডোজ কিনতে গত ৫ নভেম্বর সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া ও বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের সঙ্গে চুক্তি করে বাংলাদেশ সরকার। চুক্তি অনুযায়ী, প্রতি মাসে টিকার ৫০ লাখ ডোজ পাঠানোর কথা প্রতিষ্ঠানটির।

ভারত সরকারের কাছ থেকে উপহার হিসেবেও ২০ লাখ ডোজ টিকা পেয়েছে বাংলাদেশ সরকার। এ টিকা গত ২১ জানুয়ারি বাংলাদেশে এসে পৌঁছে। এরপর ২৫ জানুয়ারি সেরাম থেকে বাংলাদেশের ক্রয় করা কোভিশিল্ডের প্রথম চালানের ৫০ লাখ ডোজ নিরাপদে ঢাকায় আসে।

গত ২৭ জানুয়ারি গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে পরীক্ষামূলক টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে দেশে ব্যাপকভাবে টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালসহ সারা দেশের এক হাজার পাঁচটি হাসপাতালে কোভিড-১৯ টিকা দেওয়া হচ্ছে।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply