ফেনীতে প্রকৌশলীকে মারধর, সড়কে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের প্রতিবাদ

|

ফেনী প্রতিনিধি:

ফেনীতে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী অধিদফতরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. সমেশ আলীর উপর হামলার ঘটনায় ফেনী সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাসরীন সুলতানা নিজেই সড়কে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

রোববার বিকেলে ফেনী সদর উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্সের সামনে সড়কে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। কর্মস্থলে আমার বাবা লাঞ্ছিত কেন?, নিরাপদ কর্মস্থল চাইসহ বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড নিয়ে মানববন্ধনে রাস্তায় দাঁড়ায় নির্যাতনের শিকার প্রকৌশলীর ছেলে মো. সাফায়াত আলী তাছিম ও সুমাইয়া ইয়াসমিন মোহনা।

মানববন্ধনে নির্বাহী কর্মকর্তা ছাড়াও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নাজনীন সুলতানা, স্বাস্থ্য ও পরিবার-পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. ইফতেখার চৌধুরী, কৃষি কর্মকর্তা শারমীন আক্তার, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. আফতাবুল ইসলাম, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা শেখ মো. হেলাল উদ্দিন, সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. শহীদ উদ্দিন, উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম সাইফ, মীর কাসেদুল হক, আবদুল গণি, সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপক মো. শরীফুল ইসলাম, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের কর্মকর্তা শাকিল আহমেদসহ উপজেলার বিভিন্ন দফতরের দুই শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রকৌশলী মো. সমেশ আলী বলেন, ঠিকাদাররা অধিক মুনাফার জন্য কাজের মান খারাপ করছে। আমরা প্রতিবাদ করলে হামলার শিকার হতে হয়। কর্মস্থল আমাদের জন্য নিরাপদ নয়। আমরা নিরাপদ কর্মস্থল চাই। তিনি আরও বলেন, ‘ফেনী সদর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ৫০টি টিউবওয়েল স্থাপনের টেন্ডার পান ঠিকাদার হুমায়ুন কবীর। ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ভূমি অফিসের কাজ শুরু হয়। যেখানে ৭২০ ফুট পর্যন্ত পানির পাইপ দেয়ার কথা, সেখানে তারা ৫৬০ ফুট পর্যন্ত দিয়েছেন। যে পাইপগুলো কেনা হয়েছে সেগুলো অত্যন্ত নিম্নমানের। পানির চাপে দ্রুতই ফেটে যাবে। এ ছাড়া পাম্পও নিম্নমানের। আমি এই অভিযোগগুলো পেয়ে ভূমি অফিসে যাই।

উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার রাতে ফেনীতে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের টিউবওয়েল স্থাপনে নিম্মমানের কাজের প্রতিবাদ করায় প্রকৌশলীকে মারধর করে ঠিকাদার মো. হুমায়ুন কবির ভূঁইয়া ও তার বাহিনী। এ ঘটনায় পুলিশ ঠিকাদারসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply