‘অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিনকে বাতিল ঘোষণা করা ঠিক হবে না’

|

‘অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিনকে বাতিল ঘোষণা করা ঠিক হবে না’

তড়িঘড়ি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিনকে বাতিল ঘোষণা করা ঠিক হবে না। দক্ষিণ আফ্রিকায় নতুন বৈশিষ্ট্যের করোনাভাইরাস মোকাবেলায় টিকাটি অকার্যকর প্রমাণিত হওয়ার পর, এমন মন্তব্য করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

মহাপরিচালক তেদ্রোস আধানমের বক্তব্য, করোনা মহামারি ঠেকাতে বিকল্প কিছু হাতে নেই বিশ্ববাসীর। কেবল শিষ্টাচার মানা বা সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার মাধ্যমে কোভিড-১৯ এর বিস্তাররোধ অসম্ভব।

সম্প্রতি, দক্ষিণ আফ্রিকার দু’হাজার মানুষের ওপর চালানো ট্রায়ালে দেখা যায় নতুন বৈশিষ্ট্যের ভাইরাসরোধে টিকার কার্যকারিতা অত্যন্ত সীমিত। দেশটিতে সাম্প্রতিক করোনা রোগীদের ৯০ ভাগের শরীরেই মিলেছে ‘B1351’ ভাইরাসটি।

এর ধারাবাহিকতায়, আপাতত টিকাদান কর্মসূচি বাতিল করেছে দেশটির সরকার। যা, দ্বিতীয়বার ভেবে দেখার আহ্বান জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। কারণ, দরিদ্র ও স্বল্পোন্নত ১৪৫টি দেশে বন্টনের জন্য ৩৩৭ মিলিয়নের বেশি ভ্যাকসিন ডোজ কিনেছে ডব্লিওএইচও। যার অধিকাংশই অ্যাস্ট্রাজেনেকার।

ডব্লিওএইচও’র মহা পরিচালক তেদ্রোস আধানম বলেন, দক্ষিণ আফ্রিকায় ভ্যাকসিন ট্রায়ালের ফলাফল উদ্বেগজনক। তবে, সেটার ওপর ভিত্তি করে এ মুহুর্তে অ্যাস্ট্রাজেনেকার প্রতিষেধক বাতিল করা ঠিক হবে না। কেননা, মহামারি ঠেকাতে বর্তমানে আমাদের হাতে বিকল্প কিছু নেই। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো- ভাইরাসটি রূপ বদলে সক্ষম। সুতরাং, নতুন বৈশিষ্ট্যেকে কিভাবে ঠেকানো সম্ভব- সেটা নিয়ে গবেষণা চলছে-চলবে। উন্নত হবে ভ্যাকসিন তৈরির প্রক্রিয়াও।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply