টিকাদান উদ্বোধনের সময়ে মোবাইল খোয়ালেন যারা!

|

ষ্টাফ রিপোর্টার:

নরসিংদীতে টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধনের সময় তিন ব্যক্তির মুঠোফোন চুরির ঘটনা ঘটেছে। রোববার দুপুরে নরসিংদী সদর হাসপাতালের টিকাদান কেন্দ্রের সামনে এসব মুঠোফোন চুরির ঘটনা ঘটে।

প্রায় একই সময়ে একই স্থান থেকে তিনটি মুঠোফোন চুরির ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। চুরি যাওয়া মুঠোফোনগুলোর একজন চিকিৎসক, একজন সাংবাদিক ও একজন নার্সের।

যাদের মুঠোফোন চুরি হয়েছে তারা হলেন, নরসিংদী সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) সৈয়দ আমীরুল হক শামীম, বাংলাদেশের খবর পত্রিকার নরসিংদী প্রতিনিধি সুজন বর্মণ ও হাসপাতালটির নার্সিং সুপারভাইজার মোকারিমা খাতুন। তারা তিনজনই ওই অনুষ্ঠানে যার যার পেশাগত দায়িত্ব পালনে ব্যস্ত ছিলেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আজ ৭ ফেব্রুয়ারি বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নরসিংদী জেলায় টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়। অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক সৈয়দা ফারহানা কাউনাইন, পুলিশ সুপার কাজী আশরাফুল আজীম ও সিভিল সার্জন মো. নূরুল ইসলাম।

অতিথিরা মঞ্চে যখন বক্তব্য দিচ্ছিলেন এবং পরবর্তীতে যখন ফিতা কেটে ওই টিকাদান কেন্দ্র উদ্বোধন করছিলেন এই একঘণ্টা সময়ের মধ্যেই তিনটি মুঠোফোন চুরির ঘটনা ঘটে। অনুষ্ঠানে সদর উপজেলার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন এক ঝাঁক স্থানীয় সাংবাদিক ও পুলিশ সদস্য। এত গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের উপস্থিতির পরও একের পর এক মুঠোফোন চুরির ঘটনা বিস্ময়কর বলছেন উপস্থিত লোকজন।

সৈয়দ আমীরুল হক শামীম জানান, অনুষ্ঠানে সিভিল সার্জন মো. নূরুল ইসলাম মঞ্চে বক্তব্য দিচ্ছিলেন। ওই সময় এক সহকর্মীর হাতে আমার স্যামসাং জে ৭ মডেলের মুঠোফোনটি দিয়ে বলেছিলাম অনুষ্ঠানের কিছু ছবি তুলতে। কিছুক্ষণ পরই এর চার্জ শেষ হয়ে যাওয়ায় আমার মুঠোফোনটি তার পকেটে রেখে নিজের মুঠোফোনে ছবি তুলছিল সে।

ওই সময় জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার মঞ্চে অবস্থান করছিলেন। এরই মধ্যে কেউ একজন তার পকেট থেকে আমার মুঠোফোনটি চুরি করে নিয়ে যায়। এরইমধ্যে আগের নাম্বারের একটি নতুন সিম তুলে অন্য একটি মুঠোফোনে ভরে নিয়েছি। আজ সন্ধ্যায় নরসিংদী মডেল থানায় এ বিষয়ে জিডি করবো।

সুজন বর্মণ জানান, মঞ্চে বক্তব্য দেওয়া শেষে ফিতা কেটে টিকাদান কেন্দ্রটির উদ্বোধন করা হচ্ছিল। তখন ওই সময় আমি ক্যামেরা নিয়ে ওই ফিতা কাটার দৃশ্য ধারণ করছিলাম। তখনই আমার পকেট থেকে আইফোন ১১ মডেলের মুঠোফোনটি চুরি হয়ে যায়। পরে তা সাথে সাথে সুইচড অফ করে দেওয়া হয়।

মোকারিমা খাতুন জানান, অনুষ্ঠানে বক্তারা যখন বক্তব্য দিচ্ছিলেন তখন এক এক করে আমি ছবি তুলছিলাম। কখন কীভাবে যে মুঠোফোনটি চুরি হয়ে গেল তা টেরই পাইনি। বুঝতে পারলাম অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পর জামার পকেটে হাত দিয়ে। ততক্ষণে চোর মুঠোফোনটি অফ করে দিয়েছে। এমন একটি অনুষ্ঠানে এভাবে মুঠোফোন চুরি হয়ে যাবে, ভাবতে পারিনি।

জানতে চাইলে নরসিংদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার দত্ত চৌধুরী জানান, ওই অনুষ্ঠানে মুঠোফোন চুরি হয়েছে, এমন কোন অভিযোগ আমি এখনও পাইনি। অভিযোগ পেলে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যাদের মুঠোফোন চুরি গেছে তাদের থানায় এসে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করার অনুরোধ জানান তিনি।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply