৪ দিনের নিয়ন্ত্রণ শেষ দিনে খোয়ালো বাংলাদেশ

|

ইনজুরি নিয়েই মাঠে নেমেছিলেন সাকিব আল হাসান, শুধুই দেশের সম্মান বাঁচাতে তবে সেটি আর হয়নি। টানা চারদিন ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ রেখেও শেষ পর্যন্ত হেরে গেছে বাংলাদেশ। নিজেদের দ্বিতীয় ঘোষণা করার ব্যাপারটি নিয়েও খানিকটা আফসোস হতে পারে টাইগার ক্যাপ্টেন মুমিনুল হকের। চতুর্থ দিন পর্যন্ত সব ঠিক থাকলেও পঞ্চম ও শেষ দিনে এসে সব হিসেবনিকেশ ওলটপালট করে দিলো কাইল মায়ার্সের ডাবল সেঞ্চুরি। তারই ফলাফল হিসেবে চট্টগ্রাম টেস্টে তিন উইকেটের হারের লজ্জা নিয়ে মাঠ ছাড়তে হলো টাইগারদের।

শেষ দিনে উইন্ডিজের হয়ে প্রায় ২০০ রানের বেশি জুটি গড়েন বনার ও কাইল মায়ার্স। চা বিরতির সময়ে সাকিব দলের খেলোয়াড়দের পরামর্শ দিলেও সেটি কাজে লাগাতে পারেনি কেউই। অপরদিকে চা বিরতির পরে মাঠে নেমেই আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলতে থাকেন মায়ার্স ও বনার। তবে তাইজুলের বলে ছয় মারার পরেই এলবিডব্লিউয়ের শিকার হন বনার। মাঠ ছাড়ার আগে তিনি করেছিলেন ২৪৫ বলে ৮৬ রান। আর ২১৬ রানের জুটি ভাঙ্গে উইন্ডিজের। এরপর নাইম হাসান ফেরান জার্মেইন ব্ল্যাকউডকে। উইন্ডিজের স্কোর দাঁড়ায় ৫ উইকেটে ২৯২ রান।

তবে, ক্যারিয়ারের প্রথম টেস্টে সেঞ্চুরিকে ডাবল সেঞ্চুরিতে পরিণত করেত ভুল করেননি মায়ার্স। পরের ব্যাটসম্যান যসুয়া ক্রিজে টিকতে না পারলেও কেমার রোচকে সাথে নিয়ে এগুতে থাকেন মায়ার্স। তবে স্কোর যখন সমান দুই দলের তখন রোচকে ফেরান মিরাজ। কিন্তু সেটি আর কোনো প্রভাব ফেলেনি ম্যাচের ফলাফলে। দলের জয় আর বিশ্বের ৬ নম্বর ব্যাটার হিসেবে অভিষেকে ডাবল সেঞ্চুরির গৌরব নিয়ে মাঠ ছাড়েন মায়ার্স।

প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ করেছিল ৪৩০ রান। সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন মিরাজ। জবাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ অলআউট হয়েছিল ২৫৯ রানে। দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশ ৮ উইকেটে ২২৩ রান করে ইনিংস ঘোষণা করে। এই ইনিংসে সেঞ্চুরি করেছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মুমিনুল হক।

টস : বাংলাদেশ
বাংলাদেশ ৪৩০/৭ (১ম ইনিংস)
মিরাজ ১০৩, সাকিব ৬৮, সাদমান ৫৯, লিটন ৩৮, মুশফিক ৩৮, মুমিনুল ২৬, শান্ত ২৫, নাঈম ২৪, তামিম ৯;
ওয়ারিকান ৪/১৩৩, কর্নওয়াল ২/১১৪, বনার ১/১৬, রোচ ১/৬০, গ্যাব্রিয়েল ১/৬৯।

উইন্ডিজ ২৫৯/১০ (৯৬.১ ওভার)
ব্রাথওয়েট ৭৬, ব্ল্যাকউড ৬৮, জসুয়া ৪২, মায়ার্স ৪০, বনার ১৭, জসুয়া ১২*;
মিরাজ ৪/৫৮, মুস্তাফিজ ২/৪৬, নাঈম ২/৫৪, তাইজুল ২/৮৪।
বাংলাদেশ ২২৩/৮ (৬৭.৫ ওভার- ইনিংস ঘোষণা)

ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২য় ইনিংস: (৩৯৫/৭, আগের দিন ১১০/৩) (মায়ার্স ২১০, বনার ৮৬; মুস্তাফিজ ১২-১-৬১-০, তাইজুল ৪৫-১৮-৯১-২, মিরাজ ৩৫-৩-১১৩-৪, নাঈম ৩৪.৩-৪-১০৫-১)।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply